দড়াটানায় ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ: ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাসের দাবি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহানবী সা.ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চায় যশোর জেলা ইমাম পরিষদ। হযরত মোহাম্মাদ সা. কে নিয়ে ফেইসবুকে কটুক্তিকারী যবিপ্রবি শিক্ষার্থী মিঠুন মন্ডলের ফাঁসির দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে জেলা ইমাম পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশকে অস্থিথিশীল করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা আমাদের দেশের বিরাজমান শান্তি নষ্ট করতে চায়। এজন্য পরিকল্পিতভাবে এই শান্তিপূর্ণ দেশে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠনের ঈন্দনে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় যবিপ্রবির শিক্ষার্থী মিঠুন মন্ডল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সা.) ও তাঁর পরিবার জনকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর কথা প্রচার করতে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, অতীতে দেশে এ ধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি শুধু গ্রেফতার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। অজ্ঞাত কারণে তাদের বিচার করা হয়নি। বরং দোষীদের কৌশলে জামিন দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেকারণে কোনো বিচার না হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক ইসলাম ধর্ম ও তার প্রিয় নবী ও সাহাবীদের কথা বলার সাহস পাচ্ছে। মুফতি কামরুল আনোয়ার নাঈম ও মুফতি আমানুল্লাহ কাসেমীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি মো. মুজিবুর রহমান, মাওলানা মো. আব্দুল মান্নান, মাওলানা নাজমুল হক, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাসিরুল্লাহ, মাওলানা নাজির উদ্দীন, মুফতি শামসুর রহমান, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহমান এযাযী, মুফতি মাহমুদ হাসান, মাওলানা আরিফুল্লাহ আলমগীর, মুফতি উবায়দুল্লাহ শাকির, মুফতি মাসুদুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হান্নান। সমাবেশ শেষে ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর ও নবীজী সা. ও তার পরিবারকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তিকারী যবিপ্রবি শিক্ষার্থী মিঠুন মন্ডলের ফাঁসি দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন।