কোতয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তদন্তের বাড়াবাড়ি!

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর কোতয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে মসজিদে প্রবেশে বাধা দিলেন। শেষ পর্যন্ত মুসল্লিদের ঐক্যবদ্ধতার কাছে হার মানেন তিনি। মুসল্লিরা বাধা উপেক্ষা করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। গতকাল মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের আগে শহরের চৌরাস্তায় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ঢাকা রোড সিটি কলেজ মার্কেট ব্যাটারিপট্টির সামনে দলীয় কর্মসূচি সীমিত সংখ্যক নেতাকর্র্মী নিয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। কোন নেতাকর্মীর হাতে লিফলেট বা এ জাতীয় কিছুই ছিল না। সকলে নীরবে হেঁটে আসছিলেন। মাগরিবের আজান হওয়ায় তিনি ও নেতাকর্মীরা কোতয়ালি জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের ইচ্ছা পোষণ করেন। বস্তাপট্টির মোড় এলাকায় আসলেই ইন্সপেক্টর তাসমীম আলম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের ব্যারিকেড দেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা অন্য পথে যান। এই পাশ দিয়ে যেতে দেব না। এ সময় অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ নেতাকর্মীরা বলেন, নামাজের সময় চলে যাচ্ছে সামনে মসজিদে নামাজ আদায় করবো আমাদের যেতে দিন। এ কথা শুনে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি বলছি তো যেতে দেব না। আপনারা কীভাবে যাবেন ? একথা বলে তিনি এবং অন্যরা সকলকে ধাক্কাতে থাকেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে থাকেন। তার এমন আচরণে সঙ্গীয় কিছু পুলিশ বলতে থাকেন, স্যারের এমনটি করার কোন প্রয়োজন ছিল না। তারা তো মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা বলেছে। নামাজের সময় শেষ হতে থাকায় নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড টপকে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। পরে ইন্সপেক্টর শেখ তাসমীম আলম মুসল্লিদের মসজিদে যাওয়ার দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করেন। তাদের শাসাতে থাকেন, সকলকে আমি চিনি। কীভাবে রাতে বাড়ি ঘুমায় দেখে নেব। নির্বাচন করা দেখিয়ে দেব। তিনি বস্তাপট্টির মোড়ে ব্যারিকেড দিলেও তার আগে আরএন রোডের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি বলতে থাকেন, গাড়ীখানা রোডে, শ্রমিক লীগের কর্মসূচি, দড়াটানা ইমাম পরিষদের কর্মসূচি থাকায় তাদের অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ওই দুটি কর্মসূচি মাগরিবের নামাজের ঘন্টা খানেক আগেই শেষ হয়ে যায়। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলমের কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি এই প্রতিবেদকেও ধমক দেন। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মনিরউজ্জামানের মোবাইল ফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে কোন কথা থাকলে সামনে এসে বলেন। মোবাইলে আমি কথা বলবো না।