মনিরামপুরে স্কুলের গাছ নিলাম নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর)॥যশোরের মনিরামপুরে শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ নিলামে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে যুবলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে ৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। উপজলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এসময় নিলামে অংশ নিতে আসা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। উপজলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, প্রশাসনের উপস্থিতে হামলা করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দাবি করেন তাদের সামনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন মনিরামপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, চেয়ারম্যান নাজম খানমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রলীগ নেতা সবুজ কর। আহতদের প্রথমে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কম্েপলক্সে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.জিসান জানান, আহতদের যশোর ২শ’ ৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পান্না খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ৩৭টি গাছের টেন্ডার ডাকা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী, প্রাথমিক শিা অফিসারসহ সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক শংকর কুমার শর্মা বলেন, বিদ্যালয়ের সীমনা প্রাচীর নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। প্রাচীর নির্মাণে বিদ্যালয়ের মেহগনি গাছসহ ৩৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেমোতাবেক প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫শ’ টাকা ভিত্তি মূল্য ধরে গাছের নিলাম কার্যক্রমের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ঘটনার দিন বেলা ১১ টার দিকে ওই বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকা হয়। উপজেলা শিা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, তারা নিলাম কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় বাইরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। প্রায় ৩লাখ ২৬ হাজার টাকায় গাছ নিলামে কেনেন মশ্মিমনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দীপংকর। উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম আরও জানান, নিলামে অংশ নিতে গেলে পৌর যুবলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আইয়ুব পাটোয়ারি, আলমগীর হোসেন, রানা, পান্না, জিয়াসহ যুবলীগের শতাধিক নেতা কর্মী বাঁধা প্রদান করেন। এসময় সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায় যুবলীগ নেতা রানাসহ কয়েকজন তাকেও লাঞ্ছিতসহ পরোনের শাড়ি ধরে টানাটানি করেন। মনিরামপুর থানার ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।