অনশনে ১০১তম দিন : ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে সনদের দাবি শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা সংক্রমনের বিষয়টি বিবেচসায় নিয়ে ২০১৭ ও ২০২০ সালে আইনজীবী তালিকাভুক্তির প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা আমরণ অনশনের ১০১ তম দিন পার করেছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন আন্দোলনরত শিক্ষানবিশরা। শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রধান সমন্বয়ক একে মাহমুদ বলেন, ২০১৭ ও ২০২০ সালে আমরা বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। কিন্তু প্রায় ৪ বৎসর অতিবাহিত হতে চলেছে বার কাউন্সিলের এ্যাডভোকেট তালিকা ভুক্তির লিখিত পরীক্ষা না হওয়ায় আমরা চরম হতাশাগ্রস্ত ও অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন আমাদের উত্তীর্ণ সহপাঠি মারা গেছেন। কেউ স্ট্রোক করে, কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পূর্বেই মৃত্যু বরণ করেছেন। এছাড়া বর্তমানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষানবিশ আইনজীবী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির এই সংকটে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যারা ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৮৭৮ জন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি, তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে লিখিত পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পরীক্ষার ক্ষেত্রে অটো প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে আমাদের দাবিটি যে যৌক্তিক সেটি প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আমরা আইনমন্ত্রীকেও বিষয়টি অবহিত করেছি। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জানান, এর আগে গত ৯ জুন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা দেশের প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। ৩০শে জুন দেশের সব প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট, বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনেও অনশন করেন তারা। সম্প্রতি আমাদের নব-নিযুক্ত এ্যাটর্নী জেনারেল মহোদয় আমাদের দাবির পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তাই আমাদের এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে আপনার নৈতিক সমর্থন ও মানবিক হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।