অভাবে প্রতিবন্ধী তরুণীর আত্মহত্যার অভিযোগ

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা গ্রামে রতœা খাতুন (২৬) নামের শারীরিক প্রতিবন্ধী এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকালে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পরিবার। করোনার সময়ে সংকটে সংসারে অভাব অনটনের কারণেই রতœা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবার ও এলাকাবাসীর। রতœা খাতুন (২৬) উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর যদুবয়রা গ্রামের দিন মজুর মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রতœা খাতুন জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। রোগ যন্ত্রণায় ওষুধ ছিল তার প্রতিদিনের সঙ্গী। সে নিজেই সাধ্যানুযায়ী দরজির কাজ করে কোন রকম সংসার চালাতো। ২৬ বছরেও তার কোন প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড জোটেনি। কোনো প্রকার সরকারি সাহায্যও জোটেনি তার। নিজের সম্মান বজায় রেখে প্রতিবন্ধী হয়েও দরজির কাজ করে কোন রকম জীবন চালাতো। কিন্তু করোনাকালীন সংকটে কাজ না থাকায় চরম দৈন্যর মধ্যে পড়েছিল। রতœার পিতা দিনমজুর মফিজ উদ্দিনের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে দরজির কাজ না পাওয়ায় ওর ওষুধ কিনতে পারছিল না। রাতে চরম যন্ত্রণায় ছটফট করত। অভাবের কষ্ট সইতে না পেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সব যন্ত্রণা শেষ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে যদুবয়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, রতœার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জন্মগতভাবে অসুস্থতার কারণে শারীরিক কষ্ট সইতে না পেরে সে হয়তো আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কুমারখালী থানার ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ আত্মহত্যার বিষটি নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, শারীরিক দুরারোগ্যে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী রত্মা আসলে দীর্ঘদিন ধরেই রোগ যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সাংসারিক দৈন্যর পাশাপাশি এই রোগ যন্ত্রণা থেকেই হতাশার কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ঘটনাটি শোনার পর সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা ও সমাজ সেবা কর্মকর্তাদের তদন্তর নির্দেশ দিয়েছি।