‘নুরসহ সবাই গ্রেফতার না হলে অনশন ভাঙবো না’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করা এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া) হাসান আল মামুন এবং আরও চার জনসহ ছয় আসামিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী। গত ৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী। প্রথম দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ মোতায়েন করে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহসভাপতি নাজমুল হুদা। জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘ছয় জন আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমি অনশন ভাঙবো না।’
অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ দিন পর রবিবার কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পায়নি বলে জানান কমিটির প্রধান ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাভ। প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ছাত্রী তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে বলেন, “কমিটির প্রধান তদন্ত কমিটি গঠন করার আগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেছিলেন আমার ‘ধর্ষণের মামলা’ নাকি মিথ্যা। তাহলে তাকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কীভাবে সম্ভব?” এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার পর আমি কোথাও এ বিষয় কোনও মন্তব্য করিনি। আমরা ধর্ষণের মতো গুরুতর একটি অভিযোগ নিরপেক্ষ এবং প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করার চেষ্টা করেছি। প্রমাণের জন্য আমরা অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের তথ্য- প্রমাণ দিয়ে সহযোগিতা করেননি।’ তদন্ত কমিটিকে অসহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী ওই ছাত্রী বলেন, ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট আমি থানায় দিয়েছি। তাদের ওপর আস্থা না থাকায় তথ্য-প্রমাণ দিইনি।’ অনাস্থার বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘তিনি কমিটিকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সহযোগিতা করেননি। তিনি বলেছেন, ছাত্র অধিকার পরিষদকে কেন প্রমাণ দিবেন? তাহলে আমাদেরও প্রশ্ন হলো যাদের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগ না এনে ছাত্র অধিকার পরিষদকে জড়িয়ে কেন মামলা করেছেন?’ উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।