ধর্ষকের কঠিন সাজাই হওয়া উচিত: নজরুল ইসলাম খান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ধর্ষক ক্ষমতাসীন দলের হলে আইনের প্রয়োগ কতটুকু হবে, তা চিন্তার বিষয় বলে উদ্যেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের মতোর অপরাধের কঠিন সাজা হওয়া উচিত বলে আমরাও মনে করি। এ ধরনের জঘন্য অপকর্মের সঙ্গে যখন সরকারি দলের লোকজন সংযুক্ত থাকে, তখন আইন যত কড়াকড়ি হোক না কেন, তার বাস্তবায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তা জনগণের মাঝে থেকেই যায়।’ সোমবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আশা করবো, এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে এবং ধর্ষনণের অভিশাপ থেকে আমাদেরকে মুক্ত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ড্রাইভার পর্যন্ত কোটিপতি হয়ে যায়। আর সেই বিভাগের প্রশংসা করতে হবে? ‘ট্রাম্প যে চিকিৎসা পাচ্ছেন, বাংলাদেশের জনগণও সেই চিকিৎসা পাচ্ছে,’ আমার কাছে অবাক লাগে, আমাদের মন্ত্রী সাহেবরা শিক্ষিত লোক হয়ে কীভাবে এরকম কথা বলেন। তারা কষ্টের মধ্যে মানুষকে হাসায়। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজের মাধ্যমে মানুষকে সুখ দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য।’’ সবাইকে আধিকার আদায়ে লড়াই করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘যে সরকার প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটে নির্বাচিতই না, যে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ব্যাংক লুট বন্ধ করতে পারেনি, শেয়ার মার্কেটের লুট বন্ধ করতে পারেনি, এমনকি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ওটা পর্যন্ত লুট হয়ে গেছে। যে সরকারের আমলে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে এবং সেই টাকা সুইচ ব্যাংকে যাচ্ছে, সেকেন্ড হোম হচ্ছে, বেগমপাড়া হচ্ছে, সরকার দলের লোকজনের আলমারি খুললে কোটি কোটি টাকা, সিন্দুক খুললে কোটি কোটি টাকা, বাক্স খুললে কোটি কোটি টাকা, তাদের খাটের নিচে ত্রাণের সামগ্রী— এসব কিছুই ঠেকাতে পারছে না। তাই আমাদেরকে আধিকার আদায়ে লড়াই করতে হবে। আর সেই লড়াই হবে গণতান্ত্রিক লড়াই। জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। ’