বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের মোংলায় প্রতিবেশীদের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন। রবিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস কাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে প্রাণের ভয় না করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ৯ নং সেক্টরের ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামের গ্রুপের সাথে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমি একজন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু প্রতিবেশী সুদিপ সরকার, প্রাণেশ সরকার ও উত্তম সরকারসহ কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। প্রাণেশ সরকারের পাঁচ বোন লুনা, রুপালী, বিউটি, সুনিমা ও শ্যামলী ১ একর ৫৫ শতক জমি বিক্রির জন্য আমার সাথে বায়না চুক্তিপত্র করেন। এ সময় প্রাণেশের পাঁচ বোন আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। জমি বায়নার পর থেকে প্রাণেশ ও তার চাচাতো ভাইয়েরা আমার সাথে অহেতুক শত্রুতা করে আসছেন। তাদের বোনদের সাথে বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রাণেশ সরকার জোর করে ওই জমি দখলে নিয়েছেন। আমাকে বায়না দলিলের টাকার বিষয়েও কোন ফয়সালা দেয়নি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা না এমন কথাও বলছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চারটি মামলাও দিয়েছে। যা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার থেকে বাঁচতে আমি আদালতে মানহানির মামলাও করেছি। তারপরও প্রাণেশ ও তার চাচাতো ভাইয়েরা আমাকে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করছে। আমি এর থেকে রেহাই চাই।