রাজস্থানকে হারিয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিলো দিল্লি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আইপিএলে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ৪৬ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানই তুলতে পেরেছে রাজস্থান রয়্যালস। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে দিল্লি। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে রাজস্থান। ব্যাট হাতে অসাধারণ শুরুর পর বল হাতেও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে দিল্লি। দলীয় ১৫ রানে জশ বাটলারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাজস্থানের স্কোর বোর্ড তার পরেও ঠিক মতো এগিয়ে যাচ্ছিল। ৬ ওভারে এক উইকেটে সংগ্রহ ছিল ৪১ রান। রাজস্থানের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে অধিনায়ক স্মিথের বিদায়ে। তিনি অবশ্য বেশিক্ষণ থিতু হননি। ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন। তখন স্কোর ছিল ৫৬ রানে দুই উইকেট। তবে ৭২ রানে সঞ্জু স্যামসন ফিরলে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি রাজস্থান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ১০০ রানে ফিরে যান ৭ জন! শেষ দিকে রাহুল তেওয়াতিয়া লড়াই করার মানসিকতা দেখালেও ব্যবধান ছিল অনেক। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪৯ রান। এই শেষ ওভারেই রাবাদার বলে তিনি বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন ৩৮ রানে। এরপর ১৯.৪ ওভারে বরুন অরুনের বিদায়ে অলআউট হয়েছে রাজস্থান। দিল্লির হয়ে ৩৫ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। দুটি নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মার্কাস স্টয়নিস।
এর আগে টস জিতে দিল্লিকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল রাজস্থান। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানো দিল্লির স্কোর বোর্ড সচল ছিল শেষ পর্যন্ত। শিখর ধাওয়ান ৫ রান করে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৪২ রানে। আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ ফিরে গেছেন ১৯ রান করে। ৭৯ রানের মধ্যে শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্ত ফিরলেও অপর প্রান্ত আগলে খেলেছেন মার্কাস স্টয়নিস। ফেরার আগে ৩০ বলে ৩৯ রান করেছেন। তার পর ইনিংস আরও সমৃদ্ধ হয়েছে শিমরন হেটমায়ারের ঝড়ে। ৫টি ছয় ও একটি চারে ২৪ বলে ৪৫ রান তুলেছেন। ১৪৯ রানে হেটমায়ারের উইকেটটি পড়লেও ইনিংস থেমে থাকেনি। ইনিংসটাকে আরও লম্বা করেছেন অক্ষর প্যাটেল ও হর্ষল প্যাটেল। ৮ বলে ১৭ রান করে ফেরেন অক্ষর আর ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন হর্ষল। ১৯.৪ ওভারে তখন দিল্লির স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ১৮৩ রান। নির্ধানিত ২০ ওভার পরে ৮ উইকেটে দিল্লির পুঁজি দাঁড়ায় ১৮৪ রান। রাজস্থানের হয়ে ২৪ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার। ম্যাচসেরা হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।