উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন: চৌগাছায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন পৌর কাউন্সিলর মোস্তফা!

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছায় অবৈধভাবে প্রায় চার বছর ধরে তিনতলা বাসভবনে তিনটি বিদ্যুৎ লাইন ও একটি সেচ পাম্প ব্যবহার করছেন চৌগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জি এম মোস্তফা। এতে সরকার আড়াই লাধিক টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গতকাল বৃহ¯পতিবার উপজেলা পরিষদ মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন চৌগাছা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী কামাল জিয়াউল ইসলাম। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে কাউন্সিলর জি এম মোস্তফা দাবি করেন ৪ বছর নয়, চলতি বছরে তিনি ওই বাড়িতে উঠেছেন। চৌগাছা সরকারি কলেজের পিছনে কলেজের প্রাচীর ঘেঁষেই কাউন্সিলর জি এম মোস্তফার তিনতলা বাড়ি। এই বাড়িতেই কোন মিটার সংযোগ নেয়া না হলেও তিনি রীতিমত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন। পল্লী বিদ্যুতের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীর সহায়তায় তিনি এই অনৈতিক কাজ করছেন। এর ফলে সরকার আড়াই লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর জি এম মোস্তফা বলেন, ‘৩/৪ বছর নয়, সম্প্রতি কলেজের পাশে আমার নতুন বাড়িতে উঠেছি। বিদ্যুতের মিটারের আবেদনও করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম’র সাথে কথা বলেছি, যেকোনও সময় মিটার লেগে যাবে। আর মিটার বাদেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি-এটি খুবই সামান্য একটি ব্যাপার। আমি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক। তুচ্ছ এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিপ মিথ্যাচার করছে।’ যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ চৌগাছার ডিজিএম প্রকৌশলী কামাল জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তার তিনতলা বাড়িতে তিনটি ও একটি সেচ পাম্পে অনৈতিকভাবে বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহারের অভিযোগটি সত্য। আমরা তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি আজ (বৃহস্পতিবার) উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় জানিয়েছি। সভা থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া পৌরমেয়র সাহেবকেও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। দেখা যাক, তিনি কী ব্যবস্থা নেন।’ চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এম এনামুল হক বলেন, ‘পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি উঠেছে। পৌরসভার ৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’