ধর্ষণের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ ধর্ষণের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া আল আমিন (৫) নামে এক শিশুকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাবার বিরুদ্ধে। শিশুটির নানি সাকিরন এই অভিযোগ করেছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। শিশুটি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা অথবা ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে শিশুটির নানি সাকিরন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মেয়ে (২৫) একই গ্রামের প্রতিবেশী দাউদ সরদারের (৭০) ধর্ষণের শিকার হলে শিশুটির জন্ম হয়। এরপর আদালতে মামলা হলে ডিএনএ পরীক্ষায় দাউদ শিশুটির বাবা নিশ্চিত হয়। পরবর্তী সময়ে আমার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিই। মেয়ে এখন অন্য গ্রামে থাকে। বুধবার রাতে আল আমিনকে নিয়ে আমি ঘুমিয়েছিলাম। রাত ১টার দিকে আল আমিনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে দেখি, বিছানার একপাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাড়াতাড়ি পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে আল আমিনকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। দাউদই শিশুটিকে হত্যার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।’ দাউদ সরদার কেন এমন ঘটনা ঘটাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিশুটির নানি বলেন, ‘সম্পত্তির কারণে। পাশাপাশি দাউদের ছেলেমেয়েরাও বড় বড় চাকরি করে। এই বাচ্চাটি তাদের মান-সম্মানের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে সে জন্য হত্যা করতে পারে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডা. মো. শরীফুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা গুরুতর। এ কারণে তাকে খুলনা অথবা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে দাউদ সরদারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে ধরেন তার মেয়ে সুফিয়া খাতুন। তিনি জানান, এশার নামাজ আদায়ের জন্যে তার বাবা বাইরে রয়েছেন, ফিরতে দেরি হবে। অভিযোগের বিষয়ে সুফিয়া বলেন, ‘সাকিরন গ্রামে থাকেন না। এ ঘটনা ঘটার আগে তিনি কখন গ্রামে এসেছেন, আমরা তাও জানি না। এর আগে তিনি মেয়ের বিয়ে এবং শিশুটির খরচের জন্য পাঁচ লাখ টাকাও নিয়েছেন। শিশুটিকে আমাদের কাছে রাখতে চাইলে সাকিরন তাও দেননি। তিনি আরও ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন। সামনে বাবার মামলার রায় হবে। শিশুটিকে পোড়ানোর ঘটনায় আমার বাবা জড়িত নন।’ ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। তবে কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরে বাঁকুড়া ফাঁড়িকে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেছি।’