পাওনা টাকা ফেরত না দিতে অপহরণ নাটক সাজিয়ে পুলিশের হাতে ধরা

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ পাওনাদারকে টাকা না দিয়ে অপহরণের দায়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন সাতক্ষীরার এক গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে ওই গরু ব্যবসায়ীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে সদর থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মির্জা সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টায় এক ব্যক্তি সাতক্ষীরা থানা পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সংবাদ দেন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গোপীনাথপুর এলাকায় ঋশিল্পীর সামনের রাস্তায় নগরঘাটার এলাকা থেকে এক গরু ব্যাবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে খুলনার দিকে চলে গেছেন। অপহৃত ব্যক্তির কাছে গরু বিক্রির এক লাখ টাকা ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গেলে অপহৃত ব্যক্তি যে ভ্যানযোগে এসেছিলেন তার চালক, তথ্য প্রদানকারী ও অপহৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে পাওয়া যায়। তারা সবাই অপহরণের ঘটনার বর্ণনা দেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। কিন্তু বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দেন পুলিশের কাছে। তার তথ্যমতে অপহরণের নাটক সাজানো ব্যক্তি, আত্মগোপনে থাকা অপহৃত ভিকটিমকে আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাশঘাটা এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার ব্যক্তি জানান, এক আত্মীয়ের ৫৬ হাজার টাকা ফেরত না দেয়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অপহরণের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দেন। নাটকীয় ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার গাবতলা নগরঘাটা এলাকার হাফিুজুল ইসলাম, ভ্যানচালক কবিরুল, হাফিজুলের ভাই মফিজুল, রবিউল ও আত্মীয় আমিনুর, জিয়াউল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি-না খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।