প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নার্গিস বেগম: বিএনপি কর্মীরা মাঠে আছে, মাঠে থাকবে নির্বাচনের লড়াই থেকে পিছপা হবে না

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হামলা-মামলার মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানো যাবেনা বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। যেকোনো মূল্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে বলে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন। সোমবার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে রূপদিয়া বাজারে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে দুপুরে তাৎক্ষণিক প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনেই বিএনপির গণসংযোগের ওপর হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রথম রাতেই বিড়াল মারার সংস্কৃতি অনুসরণ করেছে। তারা ভেবেছ, বিএনপি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু আমরা নির্বাচনের লড়াই থেকে পিছপা হবনা। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনের সমতল মাঠ সৃষ্টি করুন। সর্বত্র ভোটের লড়াই হোক। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মাঠ দখলের চেষ্টা করবেন না। আমাদের কর্মীরা মাঠে আছে, মাঠে থাকবে। তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ছেড়ে দেবেনা। সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের আহবান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে নার্গিস বেগম বলেন, দেশে নির্বাচনে আগের রাতে ভোট কাটার নজীর রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে যশোরে আগের রাতে নির্বাচন হবেনা। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। তিনি রূপদিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে দোষীদের আটকের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সদর উপজেলা উপনির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী নূর-উন-নবী হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের সবিস্তার ব্যাখা দেন। তিনি বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালে রূপদিয়া বাজারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম। বাজারে একটি চায়ের দোকানে ভোটারদের সাথে কথা বলার সময় সকাল ৯ টার দিকে আওয়ামী লীগের একদল কর্মী নৌকা ও জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠিসোঠা ও রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান ও যুবদল কর্মী আসাদুজ্জামান গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা আমার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বিএনপি প্রার্থী নূর-উন-নবী বলেন, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের ঘটনা তারা ঘটাতেই থাকবে। এজন্য তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নার্গিস বেগম, নূর-উন-নবী, দেলোয়ার হোসেন খোকন ছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহম্মদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আনিসুর রহমান মুকুল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, যুগ্ম সম্পাদক মীর নূর ইমাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল হক খোকন, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমীর ফয়সাল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন শেষে নেতৃবৃন্দ যশোর জেলা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।