মুম্বাইয়ের তিন পেসারের কাছে হায়দরাবাদের আত্মসমর্পন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগের ম্যাচে জয়ের পর আজ রবিবারও যেভাবে জয় তুলে নিলো, তাদের সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন দল বলেই মনে হচ্ছে। কুইন্টন ডি কক ভালো করছিলেন না। রবিবার ফর্ম ফিরে পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটকিপার-ওপেনার। তার ৩৯ বলে ৬৭ রান করলেন তিনি, তারপর বোলাররা বোলিং করলেন ঠিকঠাক। ৩৪ রানে হারালো তারা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে, যাকে বলে ক্লিনিক্যাল ফিনিশ, যন্ত্রের মতো নিখুঁতভাবে। টানা দ্বিতীয় আর পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় জয় নিয়ে আপাতত শীর্ষে উঠে গেল মুম্বাই। দুর্ধর্ষ ব্যাটিং জুটি হার্দিক পান্ডিয়া (২৮) ও কাইরন পোলার্ড (২৫*) স্বভাবসুলভ ঝড় তুলেছেন ব্যাটে। তবে টসজয়ী মুম্বাই যে ৫ উইকেটে ২০৮ রান করতে পারলো শেষ ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়া ৪ বলে ২০ রান তুলেছেন বলে। দুটি উইকেট পেলেও হায়দরাবাদের মিডিয়াম পেসার সিদ্ধার্থ কাউল দিয়েছেন ৬৪ রান। ব্যাটসম্যানদের পর মুম্বাইয়ের বোলাররা পরে কাজে নেমে হায়দরাবাদকে ১৭৪ রানের বেশি করতে দেয়নি।
জয়ের জন্য ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ হায়দারী হাঁকই হাঁকিয়েছিল জনি বেয়ারস্টোর মাধ্যমে। ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় বলটিকেই গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেছিলেন ইংল্যান্ড ওপেনার ও উইকেটকিপার। পরের দুই বলে দুই চারের পর ছক্কা, বোল্টের নাভিশ্বাসই তুলে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে জেতেন কিউই পেসার, হার্দিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে বেয়ারস্টো ১৫ বলে করেন ২৫ রান। যশপ্রীত বুমরাকে গোটা দুই চার মেরে আরদ্ধ কাজ শেষ করার কাজে নেমে পড়ার ইঙ্গিত দেন ওপেনার ও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। স্বদেশি পেসার জেমস প্যাটিনসনকে পয়েন্টে কাট করার পর ক্রুনালকে পরপর ছক্কা ও চার মেরে ১১ ওভারেই হায়দরাবাদকে ১০০ তুলতে সাহায্য করেন। রান তোলার গতিটা তাদের ঠিকই ছিল। বোল্টকে আপার কাট করতে গিয়ে ডি ককের হাতে ক্যাচ হন কেন উইলিয়ামসন। আগের ম্যাচের নায়ক প্রিয়ম গার্গ এ ম্যাচে পারেননি। কিন্তু ১৬তম ওভারে প্যাটিনসনই ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন আসল ধাক্কা। এতেই মুম্বাইয়ের হাতে চলে যায় ম্যাচ। কারণ হায়দরাবাদের প্রয়োজনীয় রানরেট তখন ১৪ তে উঠে দাঁড়ায়। মুম্বাইয়ের তিন পেসার পরে জ্বলে উঠেছেন বোলিংয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ বোল্টের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাটিনসন ও বুমরাও। ১৭৪ রানের বেশি যেতে পারেনি হায়দরাবাদ। শেষদিকে একটু চেষ্টা করেছিলেন ‘বিগ হিটার’ আবদুল সামাদ, দুই ছক্কা ও এক চারে ২০ রান করে বুমরার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জম্মুর তরুণ। তার বিদায়ের পর বাকি ৮ বল থেকে ৬ রান করতে পেরেছে ওয়ার্নারের দল। পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় হারে চার পয়েন্টই হাতে রইলো তাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মুম্বাই: ২০ ওভারে ২০৮/৫ (ডি কক ৬৭, কিষাণ ৩১, হার্দিক ২৮, পোলার্ড ২৫, ক্রুনাল ২০*, সন্দীপ ২/৪১, কাউল ২/৬৪, রশিদ ১/২২) ও হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৭৪/৮ (ওয়ার্নার ৬০, পান্ডে ৩০, বেয়ারস্টো ২৫, সামাদ ২০, বোল্ট ২/২৮, প্যাটিনসন ২/২৯, বুমরা ২/৪১)।