যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৩ কোটি টাকার অডিট আপত্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অডিট হয়েছে। এই অডিটে ৩ কোটি টাকার আপত্তি দিয়েছে অডিট টিম।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই আপত্তির কথা স্বীকার করে বলেছেন, অডিট হলে আপত্তি তোলা হয়। পরে তা ঠিক হয়ে যায়।
প্রতিবছর সরকারি নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের আয়-ব্যয় নিয়ে অডিট হয়। অডিটের সময় বের হয়ে আসে অনিয়ম ও দুর্নীতি। ২০১৫ সাল হতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের শেষ পর্যন্ত প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যা অডিট টিমের কাছে ধরা পড়েছে। পেয়িং বেড ও কেবিন ভাড়া বাবদ ১ কোটি ২০ হাজার টাকা, আল্ট্রাসনো বিভাগ, ইসিজি ও প্যাথলজি হতে ৬০ হাজার টাকাসহ মোট অংকের টাকার কোন হিসাব মিলছে না। যার পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি। এ দুনীতি ও অনিয়ম বন্ধ করার জন্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালে সেন্ট্রাল ক্যাশকাউন্টার চালু করেছিলেন। সেখানে টাকা জমা দিয়েছে সেবা নেয়ার ব্যবস্থা চালু করেন তিনি। কিন্তু এক্স-রে বিভাগ, পেয়িং বেডসহ অনেক আয়ের খাত এর বাইরে থেকে যায়। যেখানে পূর্বে নিয়মেই চলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রবণতা। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে। তিনি অডিটে ৩ কোটি টাকার ওপরে আপত্তি দেয়া হয়েছে বলে জানান। ডা. দিলীপ কুমার বলেন, অডিট হলেই আপত্তি আসবে। অডিট টিমের সদস্যরা অডিট করে টাকাও নিয়ে যায়। কিন্তু সমস্যার কোন সমাধান না দিয়ে ঢাকা ফিরে যায়। পরবর্তীতে আবার অডিট করতে। এসে আপত্তি দিয়ে যায়। কিছু পাওয়ার জন্যে তারা এ আপত্তি দিয়ে যায়। আপত্তি পরে সমাধান হয়ে যায়।