সহ-সভাপতি পদে তাবিথ-মহির ‘টাই’, পুনরায় ভোট ৩১ তারিখ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে নাটকীয় টাই হয়েছে সহ-সভাপতি পদে। পরিষ্কার ব্যবধানে তিনজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেও, টাই হয়েছে চতুর্থ পদে। যেখানে সমান ৬৫টি করে ভোট পেয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়াল। এই অমীমাংসিত নির্বাচনের ফল আনার জন্য হবে পুনরায় ভোটগ্রহণ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর (শনিবার) মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়ালের মধ্যে পুনরায় ভোট হবে। এদিকে আগেই জানা, চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। বাদল রায় ও সফিকুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতেই এবার সভাপতি হলেন কাজী সালাউদ্দিন।
রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে হওয়া নির্বাচনে জিতেছেন তিনি। নতুন মেয়াদে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরেক সাবেক ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী। কাজী সালাউদ্দিনের মতো তিনি টানা চতুর্থবারের মতো সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন। বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়ের চেয়ে ৫৪টি ভোট বেশি পেয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার নামের পাশে ভোট পড়েছে ৯৪টি, বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট। সভাপতি পদের তৃতীয় প্রার্থী সফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১টি ভোট।
অন্যদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তার নামের পাশে জমা পড়েছে ৯১ ভোট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট। সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মতো সহ-সভাপতি পদেও কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদের জয়জয়কার। যেখানে ৮৯ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন ইমরুল হাসান, ৮১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ ও ৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তারা তিনজনই কাজী সালাউদ্দিনে সম্মিলিত পরিষদের। সহ-সভাপতির পদ মোট চারটি। চতুর্থ সহ-সভাপতি পদেই হয়েছে টাই। সমন্বয় পরিষদের মহিউদ্দিন আহমেদ মহি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল- দুজনই ৬৫ করে ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এ পদের বাকি তিন প্রার্থী শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান ৬১, আমিরুল ইসলাম বাবু ৫৬ এবং এসএস আব্দুলাহ ফুয়াদ পেয়েছেন ৪৮ ভোট। কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচন করেও সহ-সভাপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে জিততে পারেননি আমিরুল ইসলাম বাবু।