সবজির দাম বেশি তাই ক্রেতার কদর ইলিশ ও ব্রয়লারে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাজারে এ সপ্তাহেও সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ইলিশ মাছের আমদানি ভালো, বড় ইলিশ আগের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দামও কিছুটা কম। চালের দাম গত দু সপ্তাহ আগে বেড়ে একই জায়গায় স্থির রয়েছে। অন্যান্য মাছের দাম স্বাভাবিক। খাসির দাম অপরিবর্তিত, তবে গরুর মাংস কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।যশোরের বড়বাজারে সবজির দাম লাগাতার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিক্রি কমেছে। সবজির বদলে ক্রেতারা এখন কম দামে ইলিশ ও ব্রয়লার মুরগি কিনছেন । ইলিশ আকারভেদে প্রতিকেজি ৩শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি পাওয়া যাচ্ছে ১শ ২০ টাকায়। সোনালী মুরগিও প্রতিকেজি মিলছে ১শ ৯০ টাকায়। বাজারে আসা ক্রেতা চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন জানান, অগ্নিমূল্যের কারণে সবজির বদলে অপেক্ষাকৃত কম দামের মাছ-মাংস কিনেছেন তিনি।
বাজারে শুক্রবার শিম প্রতিকেজি প্রকারভেদে ১শ ৫০ থেকে ১শ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা কেজি, উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, ভালো মানের শসা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ভালো মানের বেগুন ৭০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ওল ৫০ থেকে ৬০টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁচকলা ৫০ টাকা, ঝিঙে-কুশি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা। সবজি বিক্রেতারা জানান, দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থাকায় বিক্রি কমে গেছে। এইচ এম এম রোডের ‘শতাব্দি ভান্ডার’ এর আড়তদার গোলাম হোসেন নয়ন জানান, যশোর বাজারে ঈশ^রদী, সৈয়দপুর ও দর্শনা থেকে সবজি আসতো, ওইসব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে। এ কারণে বাজারে সবজি আমদানি স্বাভাবিক হয়নি। শীতের সবজি উঠে বাজার স্থিতিশীল হতে মাসখানেক সময় লাগবে। এদিন বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে অমিল। দেশি রসুনের কেজি ১শ টাকা, চায়না রসুন ৯০ টাকা, দেশি আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ভারতীয় ২শ টাকা ও দেশি ২শ ৪০ টাকা। এদিকে ভরা মৌসুমে বড়বাজার মাছ বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি প্রচুর হয়েছে। বড় সাইজের ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে কমেছে। গতকাল শুক্রবার দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১১শ টাকা। এক কেজি ইলিশ ৯শ টাকা, ৫শ/৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫শ টাকা, ৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭শ টাকা ও ৪ পিস কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩শ টাকায়। এদিন অন্যান্য মাছ যেমন, এক কেজি রুই ২শ টাকা, এক কেজি কাতল ১শ ৬০ টাকা, ৬/৭ পিস গলদা চিংড়ির কেজি ১১শ টাকা, ১০ পিস রুপচাঁদার কেজি ৬শ টাকা, দেশি শিং মাছ ৭/৮ পিস কেজি ১৪শ টাকা, ৪০ পিস কেজি পাবদা ৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংসের কেজি ৭শ ৫০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গরুর মাংসের কেজি কিছুটা কম আছে, ৪শ ৮০ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বড়বাজার চাল বাজারে চালের দাম বেড়ে গত দু সপ্তাহ ধরে এ্কই জায়গায় স্থির রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাজারে মোটা স্বর্ণা চাল প্রকারভেদে খুচরা ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিআর-২৮ ধানের চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫১ টাকা, মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা, বাংলামতি চাল বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা আর কাজললতা চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫১ টাকায়। যশোর চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস জানান, বর্তমানে হাটে ধানের দাম বেশি। এ কারণে চালের দাম কমছে না।