এমসি কলেজে ধর্ষণ: সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলের স্বীকারোক্তি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে (১৯) দল বেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ আসামি ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা সিলেটের মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বিচারক জিয়াদুর রহমান তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য জানান। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান (২৮), ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর (২৫) ও ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম (২৫)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, মামলায় গ্রেফতার ৮ আসামির সকলেই রিমান্ডে রয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবার রিমান্ডে নেওয়া আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে এই ৩ জন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে বলে জানায়। এদিন বিকেলে আদালতে হাজির করার পর প্রথমে অর্জুন, এরপর সাইফুর এবং সবশেষে রবিউল জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক দম্পতিকে এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নেওয়া হয়। এরপর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গাড়ির ভেতরে দল বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদরের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। মামলার আসামিরা ছাত্রলীগের ‘সক্রিয় কর্মী’ বলে পুলিশ ও দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। মামলার এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ ৮ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অন্য দুজন হলো- আইনুদ্দিন ও রাজন মিয়া। সকল আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।