শরণখোলা থানা পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের শরণখোলা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রতিপকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করতে সহায়তা, নিরীহ একটি পরিবারকে হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ ও ন্যায়বিচার পেতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শরণখোলা উপজেলার নলবুনিয়া দ্বীপচর এলাকার ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে লিপিয়া আক্তার লিপি। এসময় লিপির বড় বোন নাসিমা আক্তার ও বোনজামাই মো. মুন্না উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিপিয়া আক্তার বলেন, ‘১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও তার ওয়ারেশদের কাছ থেকে ৪টি দলিলে আমার পিতা ৬৬ শতক জমি কেনেন। এরপর থেকে আমরা এই জমি ভোগ দখল করি। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২০ সালের প্রথম দিকে আব্দুর রশিদ চৌধুরীর ছেলে প্রবাসী রাজ্জাক চৌধুরীর স্ত্রী খাদিজা বেগম আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করেন। জমি দখলের অংশ হিসেবে দু’একজন প্রতিবন্ধী এনেও খাদিজার বাড়িতে রাখেন। সকল নিয়ম কানুন ও আইন উপো করে শরণখোলা থানার ওসি মো. মফিজুর রহমান খাদিজাকে জমি দখল করতে সহযোগিতা করেন। এর অংশ হিসেবে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ওসি মফিজুর রহমান ১৪৪ ধারা অমান্য করে খাদিজা বেগমকে প্রায় ৭ কাঠা জমি দখল করে দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে চাইলে তৎকালীন ওসি আব্দুল্লাহ আল সাইদ আমাদের মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে বলেন। পরবর্তীতে খাদিজাকে দিয়ে দুটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছেন আমাদের নামে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ওসি মফিজুর রহমান আমাদের কাছ থেকে নগদ ১৭ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। আমাদের বাড়ি থেকে একটি রাজ হাঁস জোরপূর্বক নিয়ে যান। আদালত ও থানায় মামলা থাকার পরও তিনি খাদিজাকে জমি দখলে সহায়তা করে আসছেন। এসব বিষয়ে আমরা পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও ওসি মফিজুর রহমান আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।’ ফজলুল হক সওদাগরের বড় মেয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ‘ডিআইজি’র কাছে আমাদের অভিযোগের প্রেেিত তিনি থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল্লাহ আল সাইদকে ফোন করে আমাদের টাকা ফেরত দিতে বলেন। যার ফোন রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। তারপরও আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। ওসি মফিজুর রহমান আমাদেরকে প্রতিমাসে একটি করে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। এদিকে ওসি মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ফজলুল হক সওদাগরের মেয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব মিথ্যা ও বানোয়াট। খাদিজা বেগম ও ফজলুল হক সওদাগরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এসব বিরোধে ফজলুল হক সওদাগরের পরিবার আমাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।’