‘মেসির জন্য যুদ্ধে যেতেও রাজি’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ খেলোয়াড় হিসেবে যতটা উচ্চমানের, অধিনায়ক হিসেবে ততটা নন- আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির ব্যাপার প্রায়ই শোনা যায় এই অভিযোগ। এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই শোনা যায় নানান সময়ে। তবে মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ রদ্রিগো ডি পল প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার জাতীয় দলের অধিনায়ককে। মেসির অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্বগুণে এতোটাই মুগ্ধ যে, তার জন্য যুদ্ধে যেতে রাজি ডি পল। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ডি পল। এরপর থেকে নিয়মিতই জাতীয় দলে খেলছেন তিনি। যেখানে শুরু থেকেই অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন লিওনেল মেসিকে। ফলে মেসির অধিনায়কত্বের অনেকটাই জানা হয়ে গেছে ২৬ বছর বয়সী ডি পলের। জাতীয় দলে সতীর্থ খেলোয়াড়দের সহযোগিতা না করার যে অভিযোগ রয়েছে মেসির বিপক্ষে, সেটিও উড়িয়ে দিয়েছেন ক্লাব ফুটবলে উদিনেসের হয়ে খেলা ডি পল। সাফ জানিয়েছেন, একজন আদর্শ নেতা হওয়ার জন্য যা যা করতে হয়ে, তার সবই করে থাকেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
ফিফা ডট কমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডি পল বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই তার (মেসি) ব্যাপারে আপনার একটা অন্যরকম ধারণা থাকতে পারে। তবে যখন তার কাছে গিয়ে আপনি যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করবেন, তখন বুঝতে পারবেন সে আসলে পুরোপুরি স্বচ্ছ একজন মানুষ। যা হয়তো আপনার ধারণারও বাইরে ছিল। আপনি তখন তাকে যেকোনো বিষয়ে যেকোনো কিছু জিজ্ঞেস করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন সে আপনার অধিনায়ক হবে, তখন সে বললে আপনি যুদ্ধে যেতেও রাজি হয়ে যাবেন। এখানে মূল বিষয়টা হলো, সবাই জানে তাদেরকে কী করতে হবে। কেউ নিজেকে খবরের শিরোনামে পরিণত করতে খেলে না। মেসির কাজ এখানে নির্দিষ্ট। আমরা বাকিরা দলের চাহিদা মোতাবেক অবদান রাখার চেষ্টা করি।’
আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় জোকার হিসেবে গণ্য করা হয় ডি পলকে। দলের অধিনায়ক হলেও, মেসির সঙ্গে নানান সময়ে রসিকতা করতে ছাড়েন না ডি পল, ‘সবাই আমাকে জোকার বলে। তবে আমি যখন কোনো কথা বলি, সেখানে আরও অনেকেই কিন্তু যোগ দেয়। এমনকি মেসি নিজেও চলে আসে আড্ডায়। আমি একাই জোকার নই।’ এসময় জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনির ব্যাপারে ডি পল বলেন, ‘হেড কোচ হিসেবে তার হয়তো তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তবে ড্রেসিংরুমে তার অভিজ্ঞতা ৩০ বছরের। ঐক্যবদ্ধ থাকা, পরিকল্পনা সাজিয়ে কাজ করা, তরুণদের যথাযথ সমর্থন দেয়া বেশ ভালোভাবেই পারেন তিনি। আমি জানি না মানুষ না জেনেই কেনো নানান কথা বলে থাকে।’