ঝিকরগাছায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের ঘরের প্লাস্টার উঠে যাওয়ায় নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের দুর্যোগসহনীয় ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের প্লাস্টার উঠে যাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শের আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি পৌরসদরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত-ইমান আলীর ছেলে। অভিযোগ পত্রের অনুলিপি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঝিকরগাছা প্রেসকাবেও দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারীর নিজ নামে সম্প্রতি শেষ হওয়া দূর্যোগসহনীয় ঘরের বিভিন্ন অংশের প্লাস্টার ঝরে পড়ছে। এছাড়া উঁচু নিচু থাকার কারণে ঘরের মেঝেতে পানি জমে থাকছে। নিম্নমানের বালি ও সিমেন্ট কম দেয়ার কারণে প্লাস্টার ঝরে পড়ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে শের আলীর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরের প্লাস্টার উঠার সত্যতা মিলেছে। এসময় শের আলী স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে জানান ১০ বস্তা বালিতে ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে মসলা বানিয়ে প্লাস্টার করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ দেয়ায় নির্মাণ শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযোগপত্র তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে শের আলী জানান। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাস সরেজমিনে গিয়ে ত্রুটিপূর্ণ স্থান নিজ খরচে পুনরায় প্লাস্টার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরাফাত রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুভাগত বিশ্বাস জানান, ঝিকরগাছা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘জমি আছে ঘর নাই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয়সহ ৩ শত ৩৪ টি ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে কিছু কিছু ঘরের অল্প কাজ বাকি আছে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।