স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী আবুল বাশার অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না । গত ২০ বছর ধরে বাবা চিকিৎসার খরচ চালিয়ে চলে গেছেন পরোপারে। এক বছর আগে বাবা ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর থেকে আবুল বাশারের চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। বাবা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছিলেন। ফলে বাবা ব্যাংকার হলেও এখন আর পেনশন পাচ্ছেন না। সংসার চলছে অর্ধহারে-অনাহারে। তার ওপর চিকিৎসা খরচ মেটাতে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আবুল বাশার ও তার পরিবার। জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বদর আলী মন্ডলের ছেলে আবুল বাশার। ১০ বছর বয়সে এনকোলাইজিং স্পন্ডিয়াস নামের একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তিনি। প্রথমে হাটু ফুলে যেত, জ্বর আসতো। হাটুতে পানি জমতে জমতে কোমরের জয়েন্টে আটকে যায়। কোনমত হাটা চলা করতে পারেন। এভাবেই চলছে ২০ বছর। এতদিন ব্যাংকার বাবা তার বেতন ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসছিলেন। গিয়েছেন ঢাকা, ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে। চিকিৎসরা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের ভেলরে যেতে। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি যেতে পারছেন না। বাশারের চাচাতো ভাই ফরিদুল ইসলাম বলেন, আবুল বাশার বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার ক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের এলএলবি ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তার বাবা মারা যাওয়ার পর টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আনুমানিক ৫ লাখ টাকা। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাশারের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে এই নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে-০১৭৭৩-২৪৫২৫৬ (বিকাশ)। রুপালী ব্যাংক ঝিনাইদহ কর্পোটের শাখার হিসাব নং-৩০৮৭০১০০১২৮২৬।