টিকা কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি, জানেনা নেপালের সরকার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নেপালের ট্রিনিটি ফার্মাসিউটিক্যালস রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ এর ২৫ মিলিয়ন ডোজ কিনছে বলে রুশ গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে। তবে এটিকে রহস্যাবৃত বলছে নেপালি গণমাধ্যম নেপালি টাইমস। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ চুক্তি সস্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। গত মঙ্গলবার প্রথম যখন এই চুক্তির বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তখন এটিকে ইতিবাচক খবর হিসেবেই নেয় নেপালের জনগণ। কিন্তু দেশটির সরকারের কেউই এই চুক্তির বিষয়ে কিছু জানেন না। সরকার এই চুক্তির বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেয়নি। তাই প্রশ্ন দেখা গেছে, বেসরকারি ভাবে যদি আমদানি হয়ও এই ভ্যাকসিন কি নিরাপদ হবে! আশঙ্কাটি আরো বেশি জোরদার হয়েছে যখন জানা গেলো, ট্রিনিটি ফার্মাসিউটিক্যালস নেপালের ‘ডিপার্টমেন্ট অব ড্রাগ ম্যানজমেন্ট’ থেকে আমদানিকারক হিসেবে নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠানও নয়।মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার আরডিআইএফ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভ।
তিনি জানান, নেপালের ৯০ শতাংশ জনগণের জন্যই রুশ ভ্যাকসিন আমদানি করা হচ্ছে। দেশটির হাসপাতালগুলো থেকেই এই ভ্যাকসিন জনগণের মধ্যে প্রদান করা হবে। তিনি নিশ্চিত করেন, এই ভ্যাকসিনের কোনো খারাপ প্রভাব নেই। তাই আরডিআইএফ এখন দেশের বাইরেও এই ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ইচ্ছুক। ট্রিনিটি ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক কিশোর অধিকারী বলেন, ট্রিনিটি রাশিয়ার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। এরপর সরকার এই ভ্যাকসিন অনুমোদন করলে তা নেপালিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ তৈরি করেছে দেশটির জাতীয় মহামারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গত ১১ই আগস্ট এর অনুমোদন দেয় রাশিয়া। তবে এটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা না করেই একে নিরাপদ হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পরে রাশিয়া। যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে তাদের ভ্যাকসিন শতভাগ নিরাপদ। এখন পর্যন্ত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে মেক্সিকো ৩ কোটি ২০ লাখ ডোজ, ব্রাজিল ৫ কোটি ডোজ, উজবেকিস্তান ৩ কোটি ৫০ লাখ ডোজ এবং ভারত ১০ কোটি ডোজ স্পুটনিক-৫ ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এরপর নেপালের ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ট্রিনিটিও রুশ ভ্যাকসিন ক্রয়ের কথা জানালো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯১ জন। এখনো নেপালে বড় আকারের সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।