টিআইবির পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক ফয়সল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ‘দৈনিক গ্রামের কাগজ’পত্রিকায় ‘যশোরে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে পদে পদে দুর্নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত ৩ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিক ফয়সল ইসলাম পুরস্কার পেয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে ‘তথ্য অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা:প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও দুর্নীতি বিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে গ্রামের কাগজের সাংবাদিক ফয়সল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।
সোমবার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন সাংবাদিক, গবেষক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর গীতিআরা নাসরিন, বৈশাখী টেলিভিশনের প্ল্যানিং কনস্যালটেন্ট জুলফিকার আলি মানিক এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানানো গেলেও এই আইনের বাস্তবায়নে সরকারের একাংশের মানসিকতা হলোÑ‘তথ্য হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি’; এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে এবং সরকার যেভাবে যতটুকু তথ্য প্রকাশ করতে চাইবে ততটুকুই প্রকাশিত হবে। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এমআইডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর বলেন, ‘সাংবাদিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যে তারা সংবাদ চাষ করবেন, নাকি শিকার করবেন! টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০ ঘোষণায় জানানো হয়Ñ এ বছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারের জন্য সর্বমোট ৪৯টি প্রতিবেদন জমা পড়ে। বিচারকদের যাচাই বাছাই শেষে প্রিন্ট মিডিয়া-জাতীয় ও আঞ্চলিক ক্যাটাগরি এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া-প্রতিবেদন ও প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ক্যাটাগরিতে মোট চারজন সাংবাদিক এবং একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠানকে এবছর পুরস্কৃত করা হয়। আঞ্চলিক ও জাতীয় সংবাদপত্র বিভাগে বিজয়ীদের প্রত্যেককে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।