সাতক্ষীরা মেডিকেলে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে ইন্টার্নদের হামলা

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেলথ এডুকেটর মুরাদ হোসেন বলেন, জরুরি বিভাগ চালুর জন্য স্যারের রুমের মধ্যে ঢুকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হামলা চালিয়েছেন। স্যারকে মারপিট করতে উদ্যত হন তারা। এ সময় তারা অফিসের চেয়ার ও কম্পিউটার ফেলে দেন। অন্যদিকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি। জরুরি বিভাগ চালু না থাকায় আমাদের খাতা-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে। প্র্যাকটিসকালে হাতে-কলমে শিখতে পারছি না। এখানকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ক্লিনিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে জরুরি বিভাগ চালু করছে না। আমরা চাই জরুরি বিভাগ চালু করা হোক।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ও মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট আব্দুল হালিম জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চান জরুরি বিভাগ চালু করা হোক। এই দাবিতে তারা স্যারের রুমে প্রবেশ করে খারাপ ব্যবহার করেছে। তত্ত্বাবধায়ক স্যারকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। তিনি আরও বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও রয়েছে। কি সিদ্ধান্ত হয় সেটি পরে জানা যাবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরি বিভাগ চালুর দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রুমে প্রবেশ করে অশালীন আচরণ শুরু করে। আমাকেসহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে। কম্পিউটার ফেলে দেয়। গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। মঙ্গলবার আমরা জরুরি বিভাগ চালুর বিষয়ে আলোচনায় বসবো। তবে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে হামলা ও অশালীন আচরণের অভিযোগের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেদী বলেন, আমরা কারও ওপর কোনো হামলা চালায়নি বা কোনো অশালীন আচরণ করা হয়নি। তত্ত্বাধায়কের রুমে প্রবেশের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়ার কারণ হচ্ছে, হাসাতালের স্টাফরা মেয়েদের ডিস্টার্ব করছিল, হ্যারাজমেন্ট করছিল। তাদের হাত থেকে ছাত্রীদের বাঁচানোর জন্য গেটে তালা দিয়ে রেখেছিলাম।