রামোসের পেনাল্টিধন্য রিয়ালের প্রথম জয়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে প্রথম ম্যাচে ফিরতে হয়েছে গোলশূন্য জয়হীন। এ ম্যাচেও নেতিবাচক কিছু ঘটলে রিয়াল মাদ্রিদকে শেষ বিচারে আরেকটি লা লিগায় কত মূল্য দিতে হতো কে বলতে পারে! চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় ম্যাচে তাই জয়ের জন্য ছিল বেপরোয়া। রিয়াল বেতিসের মাঠ থেকে জিতেই ফিরেছে তারা। দশজনের দলের বিপক্ষে স্কোর লাইন ৩-২। তবে ফলই বলে দেয় জয়টি অনুজ্জ্বল, আশাব্যঞ্জক নয়। জয়ের জন্য সেই তো অধিনায়ক সার্জিও রামোসের পেনাল্টি গোল লেগেছে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ কৃতজ্ঞ থাকবে বেতিসের ব্রাজিলিয়ান রাইট-ব্যাক এমারসনের কাছে। বার্সেলোনা তাকে সেমেদোর বিকল্প হিসেবে আনতে চাইছে। সেই এমারসন শনিবার রাতে ছিলেন বেতিসের মূর্তিমান এক আপদ। একটা আত্মঘাতী গোল করলেন ৪৮ মিনিটে, ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন।
১৪ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন ফেদে ভালভার্দে। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বেতিস তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে চিন্তায় ফেলে দেয় জিদানের দলকে। ৩৪ মিনিটে সার্জিও ক্যানালেসের বলে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন আইসা মান্দি। দুই মিনিট পর নাবিল ফেকিরের পাসে গোলকিপার কোর্তুয়াকে পরাস্ত করেন উইলিয়াম কারভালহো। দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে শুরু করা রিয়াল সমতা এনে ফেলে দ্রুতই। তবে তা প্রতিপক্ষের দান। দানি কারবাহালের ক্রস ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে এমারসন। দীর্ঘদেহী ব্রাজিলিয়ানের দিনটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় পরে। বল নিয়ে গোলমুখে ছোটা রিয়ালের সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুকা ইয়োভিচকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, যা পরিণত হয় লালে। খেলা শেষের আট মিনিট আগে ইয়োভিচের বদলি বোরহা মায়োরালের সঙ্গে বক্সের মধ্যে ‍যুঝতে গিয়ে হাতে বল লাগান মার্ক বার্ত্রা। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে পানেনকা শটে গোল করেছেন রিয়ালের ত্রাতা অধিনায়ক রামোস। দুটি সিদ্ধান্ত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। রিয়ালবিরোধীরা এর মধ্যে অন্যরকম কিছু খুঁজতে চাইবেন। বেতিসের কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ, ‘রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে একইসঙ্গে যদি পেনাল্টি, ভিএআর ও লাল কার্ড এসে জোটে তবে তা খুব কঠিন।’ পেলেগ্রিনির দাবি এমারসনের আত্মঘাতী গোলের আগে করিম বেনজেমা অফসাইড ছিলেন।
এ দুটি সিদ্ধান্তের সময় উল্লেখ করে কার্লেস পুয়োল বিস্ময়সূচক ইমোজি দিয়ে টুইট করেছেন, ‘আমরা যদি জিততে চাই আমাদের খুব ভালো খেলতে হবে।’ বার্সেলোনার সাবেক ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক ‘আমরা’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন সেটি বলার প্রয়োজন নেই। রেফারিং নিয়ে রিয়াল কোচ জিদানকে পর্যন্ত কথা বলতে হয়েছে, ‘মাঠে একজন রেফারি ছিলেন (রিকার্দো) এবং তিনি রিভিউ করেছেন। সর্বময় কর্তৃত্ব রেফারির হাতে, আমি মনে করি যা ঘটেছে তা ন্যায্য।’ তবে জয় নিয়ে ফিরতে পারলেও জিদানকে উদ্বিগ্ন থাকতেই হচ্ছে। গোল বের করার মতো আক্রমণের ধার নেই দলের। বেতিস তাদের চেয়ে সুযোগ তৈরি করেছে। বেতিসের গোলে শট ১৫, রিয়ালের ১১। লক্ষ্যমুখী শট বেতিসের পাঁচ, রিয়ালের চার।