বৃষ্টি হলেই খাল হয়ে যায় নওয়াপাড়া মডেল কলেজ সড়ক

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া মডেল কলেজ সড়কে থৈ থৈ পানি। পিচঢালা এই সড়কটি এখন দেখে মনে হবে কোনো খাল বা জলাশয়। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। যা ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোড নামে পরিচিত। এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ নওয়াপাড়া মডেল ডিগ্রি কলেজের শ শ শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। শুধু তাই নয়, রাস্তাটির জলাবদ্ধ অংশ পেরোলেই সোহান ক্যাডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুল। যেখানে শতাধিক কোমলমতি শিশু লেখা পড়ে করে। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর ধোপাদী গ্রামের হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। সড়কটি ধোপাদী গ্রাম হয়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় যাতায়াতের জন্য মণিরামপুর সড়কের সাথে মিশেছে।
স্থানীয়রা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বেঙ্গল রেলক্রসিং থেকে এ বাইপাস সড়কটি নওয়াপাড়া মডেল কলেজ অভিমুখে গেছে। সড়কটির মাত্র দু শ গজ এলাকা হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের কারণে পরিণত হয়েছে। এ স্থানটুকু যেন স্থানীয়দের কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। একের পর এক পালাবদল হয়, নতুন নতুন জনপ্রতিনিধি আসেন, নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুঁরি শোনা যায়। তবে স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ হয় না এমন মন্তব্য ওই এলাকার শতাধিক মানুষের। তাদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এ অংশটুকু হাটু জলে রূপান্তরিত হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন এবার পানি কমলেই শুরু হবে সড়ক ও ড্রেনের কাজ। পানি কমে যায়, যে যার মতো ভুলে যান প্রতিশ্রুতি। আবার বর্ষা আসে। আবার হাটুজল। আবার সেই দুর্ভোগ। আবারও প্রতিশ্রুতি। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা, আর কতো বছর গেলে শেষ হবে এ দুর্ভোগের পালা? সরেজমিনে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোডে গিয়ে দেখা গেছে, যত্রতত্র অপরিকল্পিত বাড়িঘর ও প্রাচীর নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেয়। যার ফলে সড়কটি একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। এ সড়কটিতে ড্রেন নির্মাণ করতে হলে বেশ কয়েকটি প্রাচীর ভাঙতে হবে। ভাঙতে হতে পারে কোনো কোনো বাড়ির দেয়াল যা অপরিকল্পিতভাবে সড়কটির গা ঘেষে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটিতে বেশ কয়েকবার পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা করলেও তা ভেস্তে গেছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, সড়কটিতে ড্রেন নির্মাণ করতে গেলে যারা অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি ও প্রাচীর নির্মাণ করেছেন তারা বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। আর ভোট কমে যেতে পারে এ আশঙ্কায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব অপরিকল্পিত ভবন ও প্রাচীর ভাঙতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে চান না। প্রতিবছর যার মাশুল দিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষের। তারা দ্রুত এ সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক সংস্কারের জন্য নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্তর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয় পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত জানান, বৈশি^ক মহামারি করোনার কারণে কাজের টেন্ডার বন্ধ ছিল। অচিরেই টেন্ডার কাজ শুরু হবে এবং ড্রেনেজ এর কাজ সহ জলাবদ্ধাতার নিরসন হবে।