অভয়নগরের নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ২ আসামির আদালতে জবানবন্দি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের অভয়নগরে নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় আটক ২ আসামি সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই আসামিরা হচ্ছেন-অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও কায়সেদ আলী সরদারের ছেলে নুর ইসলাম। জবানবন্দিতে জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভাতের হোটেলের ওই নারী শ্রমিককে ‘কথা আছে’ বলে ডেকে আমডাঙ্গা গ্রামের মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর ওই শ্রমিককে সেখানে ফেলে রেখে চলে আসেন।
অপরদিকে নুর ইসলাম জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন, তিনি মুদি ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যান। এরপর শুনতে পান যে, নারী শ্রমিকের সাথে জাহিদুলের ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে জাহিদুল তাকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি আসাদ নামে আরও একজনকে দেখতে পেয়েছেন। ওই নারী শ্রমিককে নিয়ে আসাদ কিছুটা দূরে অবস্থান করছিলেন। ফলে আসাদ ও জাহিদুল তার (নারী) সাথে খারাপ কিছু করেছিল কিনা তা তার জানা নেই। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী শ্রমিকের বাড়ি পিরোজপুরে। বর্তমানে তিনি যশোরের অভয়নগরে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন এবং ভাঙ্গাগেটের জনৈক আতিয়ারের ভাতের হোটেলে শ্রমিকের কাজ করতেন। আসামি জাহিদুল ওই হোটেলটি ভাড়া নিয়ে নিজে পরিচালনার কথা বলে নারী শ্রমিককে ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার সাথে দেখা করতে বলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নারী শ্রমিক তার সাথে দেখা করলে জাহিদুল তাকে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় জাহিদুল তাকে ধরে মাঠের ভেতর নিয়ে চড় থাপ্পড় মেরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পাহারায় ছিলেন আসামি নুর ইসলাম ও আসাদ। এরপর নুর ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তাকে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ওই নারীর শরীরে জ্বর আসে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন।