স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর উপশহরে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু হত্যাকান্ডে জড়িত আসিফ হাসান নামে এক দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। যশোর সদর উপজেলার নওদাগা এলাকা থেকে গত রোববার বিকেলে তাকে আটক করা হয়। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পিবিআই সূত্র জানায়, আটক আসিফ হাসান (২০) শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড আমবাগান এলাকার জনৈক বাবুর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার বিকেলে সদর উপজেলার নওদাগা এলাকায় তার মামা লিটনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে আটক করা হয় আসিফ হাসানকে। পরদিন সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই ¯েœহাশিষ দাশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আটক আসিফ হাসান আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে। জবানবন্দিতে সে আদালতকে একথা বলেছে যে, দুর্জয় ও আল শাহরিয়ার নামে তার দুই বন্ধু তাকে ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও সে ইমুকে খুন করেনি। উল্লেখ্য, গত ২১ জুন সন্ধ্যারাতে উপশহর শিশু হাসপাতালের বিপরীতের একটি চায়ের দোকানে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সৈয়দ এহসানুল হক ইমু। দুই পক্ষের মারামারি ঠেকানোর জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের পিতা সৈয়দ ইকবাল হোসেন ইকু অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পিবিআই ২৩ জুন রাতে হত্যাকান্ডে জড়িত আল শাহরিয়ার নামে এক সন্ত্রাসীকে প্রথমে আটক করে। সে পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার আব্দুল হান্নানের ছেলে। ওই সময় আল শাহরিয়ারের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইমু হত্যাকান্ডে জড়িত আসিফ হাসানসহ অন্যদের নাম প্রকাশ পেয়েছিল।