প্রীতির মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছেন আম্পায়ার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আনুষ্ঠানিক ফলাফল জানান দিচ্ছে, রোববার আইপিএলের ১৩তম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস। মূল ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দুই দলের সংগ্রহই ছিল ১৫৭ রান। পরে সুপার ওভারে সহজ জয় পেয়েছে দিল্লি। অথচ মূল ম্যাচেই জিতে যাওয়ার কথা ছিল পাঞ্জাবের। তাদের ইনিংসের ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদার ইয়র্কার লেন্থের একটি ডেলিভারিকে লং অনের দিকে ঠেলে দেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দ্রুততার সঙ্গে দুই রান নেন দুই ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক ও ক্রিস জর্ডান। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার নিতিন মেনন জানান, জর্ডার প্রথম রান নেয়ার সময় পপিং ক্রিজের ভেতরে ব্যাট ছোঁয়াননি। যার ফলে সেই দুই রান থেকে একটি রান কেটে নেয়া হয়। শেষপর্যন্ত এই এক রানের জন্যই মূল ম্যাচটি টাই হয়। ম্যাচ শেষে দিল্লির জয় ছাপিয়ে এখন আলোচনা চলছে সেই এক রান কম দেয়া নিয়েই। কেননা রিপ্লে ভিডিওতে স্পষ্টত দেখা গেছে, সেই রানটি বৈধভাবেই সম্পন্ন করেছিলেন জর্ডান। আর এটি দিলেই ম্যাচ জিতে যেতো পাঞ্জাব।
আম্পায়ারের এমন কাণ্ডে ক্ষুদ্ধ কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক প্রীতি জিনতা। যতটা খুশি মনে আইপিএল দেখতে গিয়েছিলেন আমিরাতে, প্রথম ম্যাচেই তাতে বড় এক ধাক্কা লেগেছে বলে জানিয়েছেন প্রীতি। তবে প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে তেমন কিছু বলেননি এ বলিউড অভিনেত্রী। ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রথম টুইটে প্রীতি জিনতা লিখেছেন, ‘শ্বাসরুদ্ধকর একটি ম্যাচ! আইপিএল-২০২০ এর প্রথম সুপার ওভার। ভালো খেলেছো দিল্লি ক্যাপিট্যালস, দূর্ভাগ্য কিংস এলেভেন পাঞ্জাব। এই ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক সামনে নেয়ার রয়েছে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল তুমি দুর্দান্ত। আইপিএলের শুরুতে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে।’ এর খানিক পরে ভিরেন্দর শেবাগের টুইটার পোস্ট রিটুইট করে সেই শর্ট রানের ব্যাপারে নিজের রাগ উগড়ে দিয়েছেন প্রীতি। জর্ডানের সেই রানের ছবি শেবাগ তার টুইটে লিখেছেন, ‘আমি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের সঙ্গে একমত নই। যেই আম্পায়ার শর্ট রান দিয়েছিল, সেই আম্পায়ারের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাওয়া উচিৎ। ঐটা শর্ট রান ছিল না এবং এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
এটি রিটুইট করে প্রীতি লিখেছেন, ‘এই মহামারির মধ্যেও আমি আগ্রহ নিয়ে ভ্রমণ করে এসেছি, ছয়দিনের কোয়ারেন্টাইনে থেকেছি এবং হাসিমুখে পাঁচটি কোভিড টেস্টও দিয়েছি। কিন্তু এই একটি শর্ট রান আমাকে বড় ধাক্কা দিল। প্রযুক্তি যদি ব্যবহারই না করা হয়, তাহলে এটি রেখে লাভ কী? বিসিসিআইয়ের এখন নতুন নিয়ম করা উচিৎ। প্রতিবছর এটি হতে দেয়া যাবে না।’ এই ম্যাচ সম্পর্কিত নিজের শেষ টুইটে পাঞ্জাব মালিক প্রীতি লিখেছেন, ‘আমি সবসময় ম্যাচের জয়-পরাজয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং খেলাটির স্পিরিটে বিশ্বাস করি। তবে একইসঙ্গে এটাও জরুরি যেন খেলাটির উন্নতির জন্য ভবিষ্যতে বিভিন্ন পলিসিতে বদল আনা হয়। অতীতে যা হয়ে গেছে, তা গেছে। এখন এগিয়ে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমিও বরাবরের মতো ইতিবাচক থেকে সামনের দিকে তাকিয়ে।’