পুটখালীর সাবেক চেয়ারম্যান রাজ্জাককে হত্যার দায়ে এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার দায়ে জিয়ারুল ওরফে জিয়া নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই মামলার অপর ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জিয়ারুল ওরফে জিয়া (পলাতক) শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মোড়লের ছেলে। আর খালাসপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, মহিষাডাঙ্গা গ্রামের হযরত মল্লিকের ছেলে অবায়, গুড়ে গম্বুজের ছেলে রফিকুল ইসলাম, পাচু মোড়লের ছেলে নুরু ও আলা, কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মাহবুব, পুটখালী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে তরিকুল ইসলাম, কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে হারুন অর রশিদ, শিবনাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মোমিনুর রহমান, মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ মোড়লের ছেলে রয়েল, জহির মল্লিকের ছেলে মনিরুল, কৃষ্ণপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মশিয়ার, বারোপোতা গ্রামের আহম্মদ আলী ওরফে কেলে আহম্মেদের ২ ছেলে আল আমিন ও রুহুল আমিন, দৌলতপুর গ্রামের শেখ আব্দুল্লার ছেলে মেহেদী হাসান সীমান্ত ও বারোপোতা গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে ইউসুফ মোড়ল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় পুটখালীর বারোপোতা গ্রামের জনৈক আকবর আলীর বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ, বোমা হামলা ও কুপিয়ে হত্যা করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসানুজ্জামান ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফারের সাথে আধিপত্য বিস্তার, সিরাজুল নামে আরেক ব্যক্তির সাথে পুটখালীর হাট ও মেম্বার মোমিনুর রহমানের সাথে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলাটি পর্যায়ক্রমে এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান ও এসআই আবুল খায়ের মোলা তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৮ আগস্ট ১৬ জনকে ্অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এই মামলায় আসামি জিয়ারুল ওরফে জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে উল্লিখিত কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেন। একই সাথে অপর ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেন আদালত।