বিরোধী নেত্রীকে নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করেছে বেলারুশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাসেঙ্কোবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের দেশ বেলারুশ। লুকাসেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। এক মাস আগে দেশটির নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি করে লুকাসেঙ্কো পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন বেলারুশিয়ান কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মারিয়া কোলেসনিকোভা, প্রেস সেক্রেটারি অ্যান্তন রোদনেনকভ এবং এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আইভান ক্রাভটসভ। ইতোমধ্যে এদের সবাইকে ধরা নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার রাতে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
লুকাসেঙ্কোবিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সময়ই গত সপ্তাহে বিরোধীনেত্রী কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করেছিল মুখোশধারীরা। তারা রাজধানী মিনস্ক থেকে তাকে সোজা নিয়ে যায় ইউক্রেনের সীমান্তে। জোর করে তাকে বেলারুশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু এই সাহসিনী নেত্রী সেখানে নিজের পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে দেন। ফলে তাকে আর জোর করে ইউক্রেন পাঠানো যায়নি। তার সঙ্গে থাকা দুই অনুগামীকে অবশ্য তার আগে ইউক্রেনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোলেসনিকোভাকে আটক করা হয়। এরপর বেলারুশে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত আরও এক বিরোধী নেতাকে তুলে নিয়ে যায় মুখোশধারীরা। গত ৯ আগস্টের নির্বাচনে স্বৈরশাসক আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে বিপুল ভোটে জয়ী ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত বেলারুশের পরিস্থিতি। গত ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। গত মাসের নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভ-সহিংসতায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ও আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। সরকারি দমন-পীড়নের মুখে বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাসেঙ্কো। দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকটে পশ্চিমা বিশ্বের হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন তিনি। বিক্ষোভকারী, মানবাধিকারকর্মী এবং পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কঠোর নিপীড়নের মাধ্যমে দমন করছে দেশটির দাঙ্গা পুলিশ।