গদাইপুরÑকপিলমুনি বাজারে জমে উঠেছে ভোরবেলার চারার হাট

0

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনা পাইকগাছার গদাইপুরÑকপিলমুনি বাজারে ভোরবেলার গাছের চারার হাট জমে উঠেছে। পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা অসম্ভব। বর্ষাকাল বৃক্ষ রোপনের উপযুক্ত সময়। ভোরের হাট সকাল ১০ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য বিকেল বেলাও আংশিক চারার হাট বসে।
এই হাটে ফলদ, বনজ, ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে। পাইকগাছা, কয়রা, আশাশুনি, দাকোপসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতারা ভোরবেলার হাট থেকে পছন্দমত নানা প্রজাতির চারা কিনছেন। ভোরবেলার এই চারার হাটে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। গদাইপুর নার্সারির জন্য বিখ্যাত। এখানকার নার্সারির চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৪’শ থেকে ৫’শ নার্সারি গড়ে উঠেছে। এ সব নার্সারিতে উৎপাদিত গাছের চারা ও কলম ভোরবেলা গদাইপুর হাটে তোলা হয়। এখানে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, লিচু, কদবেল, বিভিন্ন জাতের কুল, পেয়ারা, বাতাবি লেবু, মাল্টা, কমলা, দেশি-বিদেশি নারিকেল গাছের চারা, সুপারী, মেহগনি, সিরিশ, লম্বু, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, গদাইপুর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪’শ নার্সারি রয়েছে। এ সকল নার্সারি থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করা হয়। তবে গদাইপুর বাজারে ভোরবেলার হাটে প্রচুর পরিমাণ চারা উঠছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত চারা কিনতে এখানে ভিড় করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। এজন্য সরকারিভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গদাইপুরে ভোরবেলা হাট থেকে ক্রেতারা চারা কিনে সূর্যের তাপ ছাড়াই চারা গন্তব্য স্থানে নিয়ে যেতে পারেন। এতে চারার মান ভাল থাকে। যে কারণে ভোরবেলার হাটে ক্রেতাদের চারা কেনায় আগ্রহ বাড়ছে।