বিশুদ্ধ পানির সরবরাহে খুশি শার্শার সদর ইউনিয়নের জনগণ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ শার্শা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জনগণ বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ পেতে শুরু করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয় নাভারন বাজারের দুই হাজার পরিবারের বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এ পানি। পানি সরবরাহ কার্যক্রম জোরদারে সহায়তা দিয়েছে ইউনিসেফ।
শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, ‘পানি নিরাপদ না হলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে উন্নয়ন টেকসই হয় না। তাই নিরাপদ পানি পানের সুযোগ তৈরি করা, গুণগতমান, সবার জন্য সহজলভ্য ও টেকসই ব্যবস্থা হিসেবে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।’ উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ব্যবস্থাপনায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়। এক লাখ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন ট্যাংকে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি তোলা হয়। এই পানি আর্সেনিক ও আয়রনমুক্ত।’ শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, আর্সেনিক দূষিত এলাকা হওয়ায়, আমাদের সাধারণ মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো। এ অবস্থায় সরকারিভাবে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, বিভাগীয় শহর বা মহানগরীর মানুষের কাছে সরবরাহের পানি বিষয়ে ধারণা থাকলেও মফস্বল এলাকায় এ ধারণা একেবারেই ছিল না। ফলে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কিছুটা অসুবিধা হলেও, এখন মানুষ সচেতন হয়েছে। সুফল পেতে শুরু করেছেন, চাহিদাও বেড়েছে। নাভারন কাজীর বেড় এলাকার সেলিম রেজা বলেন, দিনে দুইবার লাইনে পানি আসে। সকাল ৭টায় এবং দুপুর ২টায়। এতেই আমাদের চাহিদা মিটে যায়। অধিকাংশ গ্রাহক চাহিদা মোতাবেক পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। নাভারন বাজারের রুস্তম আলী বলেন, এলাকার মানুষের সুপেয় নিরাপদ পানির খুব অভাব ছিল। এখন আমরা খুব ভালো আছি। আর্সেনিক ও আয়রনমুক্ত পানি পাচ্ছি।
গৃহবধূ মমতাজ বেগম বলেন, আগে সাধারণ টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করতাম। ঘরের মেঝের টাইলস, বেসিন, বাথরুম, হাড়িপাতিল সব আয়রনে লাল হয়ে যেতো। সাপ্লাই পানি ব্যবহারের পর থেকে আর লাল হয় না। রান্নাবান্নার কাজেও এই পানি ব্যবহার করছি। এখন আমরা খুব ভালো আছি। শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় দুটি ধাপে মাসিক ১৫০ এবং ১৯০ টাকার বিনিময়ে প্রতিটি পরিবারকে এই পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ টাকা দিয়েই প্রকল্পের সব ব্যয় মেটানো ও দেখভালকারীদের বেতনভাতা দেওয়া হয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।