লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের জমি এক বছরেও দখলমুক্ত হয়নি

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা ॥ গত এক বছরেও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মোচড়া গ্রামে মাইটকুমড়া মৌজার সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত হয়নি। ওই জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারের সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ্যাসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার টেবিলে বারবার ঘুরে জমির মালিক লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তার টেবিলে আসতে এক বছর পার হয়েছে। অবশ্য জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এসিল্যান্ড অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মচারীর অপতৎপরতায় উচ্ছেদ সংক্রান্ত ফাইলটি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অবগত। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সদিচ্ছায় পুনরায় অভিযোগ ফাইলটি পুনরুজীবিত করা হয়। অবশেষে এক বছর পর উচ্ছেদ সংক্রান্ত নথিটি লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের টেবিলে পৌঁছেছে।
সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট লোহাগড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর- ০৫.৪৪.৬৫২৮.০৮.০০২.২০-৫৩২ পত্রে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিশ প্রদানপূর্বক জারিকৃত কপি তার দফতরে প্রেরণের জন্য লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট নড়াইলের ডিসির কাছে লোহাগড়া উপজেলার ৮৭ নম্বর মাইটকুমড়া মৌজার ৪ নম্বর খতিয়ানের ২২ নম্বর দাগের সরকারি খাসজমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন লোহাগড়া কলেজপাড়ার মৃত আবু মিয়ার ছেলে শাহ ফয়সাল আলম। ডকেট নম্বর-১৫৫৯। শাহ ফয়সাল আলম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় আধা একর সরকারি জমি দখল করে স্থানীয় কুদ্দুস, ইব্রাহিম, ইনতাজ আলী, শরিফুল, রানু বেগম বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। আরো কয়েকজন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দখলে রয়েছেন। অভিযুক্ত কুদ্দুসসহ অন্যরা এ বিষয়ে বলেন, আমরা ভূমিহীন। নিরুপায় হয়েই এখানে বাস করছি। লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম সিকদার এ বিষয়ে বলেন, ‘মাইটকুমড়া মৌজার লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেকর্ডকৃত সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারগণকে উচ্ছেদের নিমিত্তে নোটিশ প্রদান সংক্রান্ত এ্যাসিল্যান্ড মহোদয়ের একটি আদেশ পত্র পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমি সঠিকভাবে ওই জমির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না। এ্যাসিল্যান্ড অফিস ম্যাপ দেখে ওই জমির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো’। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখী ব্যানার্জী বলেন, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ করা হবে।