চৌগাছায় আ.লীগ নেতার বউ এখন ছাত্রলীগ নেতার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছায় এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে এক ছাত্রলীগ নেতা ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, স্ত্রী ভেগে যাওয়ার সময় প্রায় চার লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকর সাথে করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় অসহায় আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেনকে তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সালামা খাতুন তালাক দিয়ে সংসার করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমানের সাথে। সাদেকুর রহমান একই ইউনিয়নের ছোট দিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে। প্রায় দুই বছর ধরে ওই ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে কখনও ঝিনাইদহ, কখনও চৌগাছা পৌর সদরে বাসা ভাড়া করে থাকেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমান হোসেন বলেন, তিনি ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের ছিল। তিনি এক ছেলের পিতা। ছেলের নাম আবু বক্কর, সে ৫ম শ্রেণির ছাত্র। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে সে সময়ে অসময়ে আমার বাড়িতে আসত। আসা যাওয়ায় আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা আমার অজানা ছিল। এরই মধ্যে আমি বিদেশে যায়। কুয়েত, সৌদি আরব, বাহারাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশে দীর্ঘ দিন থেকেছি। বিদেশ থাকা কালীন সময়ে আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের নামে টাকা ও বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণালংকার পাঠায়। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে স্ত্রী সালামা খাতুন নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের সাথে চলে যায়। এর কিছু দিন পর সে আমাকে তালাক দেয় এবং সাদেকুরকে বিয়ে করে। যেহেতু আমি একটি রাজনীতি দলের নেতা এবং আমার স্ত্রী যার সাথে গেছে সেও আমার দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা তাই বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বেশি জানাজানি না করে দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বারস্থ হই। আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আমি সব ধরনের চেষ্টা করি কিন্তু কোন কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের নামে আমি ৩টি মামলা করি যা চলমান আছে। মামলা করার পর সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি কোন কিছুতেই তোয়াক্কা করিনি। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঘটনাটি নিয়ে আমি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এর একটি সঠিক বিচার দাবি করব। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সাথে কথা হলে তারা সকলেই বিষয়টি জানেন তবে কেউ কোন মন্তব্য করতে চাননি।