‘৫ দিনে ৩ ধর্ষণ প্রমাণ করে নারীরা নিরাপদে নেই’

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের জন্য প্রয়োজনে কঠোর আইন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনার নাগরিক সমাজ। তারা বলেছেন, ‘ধর্ষণ একটি মারাত্মক অপরাধ। বর্তমানে তা সংক্রমিত ভাইরাসের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ধর্ষণের এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের সমাজের অবস্থা অদূর ভবিষ্যতে অন্ধকার থেকে অন্ধকারময় হবে। খুলনায় ৫ দিনে ৩টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ প্রমাণ করে নারীরা নিরাপদে নেই। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।’
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জনউদ্যোগ নারী সেলের উদ্যোগে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে ডুমুরিয়ার নারী শ্রমিক ও খালিশপুরের কিশোরীর ধর্ষকদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সভাপত্তিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু। পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএমএ-এর সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, বয়রা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দা লুৎফুরন্নাহার, জেপি’র শরিফ শফিকুল হামিদ চন্দন, কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের আহ্বায়ক সুতপা বেদজ্ঞ, নারী নেত্রী রসু আক্তার , মহিলা পরিষদের পপী ব্যনার্জী, দলিলেত ধরা দেবী , ওয়ার্কাস পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাসদের মহানগর সভাপতি খালিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক স ম রেজাউল করিম , সাম্যবাদী দলের এফ এম ইকবাল, সিপিবি’র মিজানুর রহমান বাবু, জাতীয় পার্টির শাহ লায়েকউল্লাহ, মাসাসের কৃষ্ণা দাস, রূপসা সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার অনুপ কুমার মণ্ডল, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু প্রমুখ। সভায় বক্তারা ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্য ধর্ষকদের বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলনসহ ধর্ষণের আইন কঠোরতর করার দাবি জানান।