বাঘারপাড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুরে সোলায়মান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৪ জনকে আসামি করে এ মামলা করেছেন তার ভাগ্নে সোহেল হোসেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। সেই সাথে আদালত এ সংক্রান্ত থানায় কোনো মামলা থাকলে তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাঘারপাড়া থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। মামলার ৪ আসামি হচ্ছেন-ব্যবসায়ীর স্ত্রী কাকলী বেগম, শ্বশুর জমির উদ্দিন, শাশুড়ি পারভীন খাতুন বাঘারপাড়ার সাইটখালী গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান।
বাদী সোহেল হোসেন বাঘারপাড়ার মালঞ্চী গ্রামের মোস্তফা বিশ্বাসের ছেলে ও মরহুম ব্যবসায়ী সোলায়মান হোসেনের ভাগ্নে। সোহেল হোসেনের অভিযোগ, সোলায়মান হোসেন তার মামা। ১৭ বছর আগে আসামি কাকলীর বেগমের সাথে তার মামার বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তানের জন্ম হয়। তার মামা দীর্ঘ ১০ বছর তিনি বিদেশেও ছিলেন। সেখানে উপার্জিত টাকা থেকে শ্বশুর জমির উদ্দিন ও ৪ নম্বর আসামি হাফিজুর রহমান সাত লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু এরই মধ্যে সোলায়মান হোসেন বিদেশে থাকাকালীন তার স্ত্রী কাকলী বেগম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি বিদেশ থেকে চলে আসেন। এরপর আসামিদের পরামর্শে পৈত্রিক ভিটা মালঞ্চির সম্পত্তি বিক্রি করে দক্ষিণ শ্রীরামপুরে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকেন। পাশাপাশি তিনি (সোলায়মান হোসেন) চাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ‘এস বিপণী’ নামে একটা দোকানে মুদি ব্যবসা করেন। কিন্তু তার স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্ক বজায় রাখায় তিনি কয়েকবার হাতেনাতেও ধরে ফেলেন। বিষয়টি তিনি শ্বশুর ও শাশুড়িসহ অন্য আসামিকে অবহিত করেন। এরই মধ্যে আবার সোলায়মান হোসেন দোকান ও বাড়ি বিক্রি করে ফের মালঞ্চীতে পৈত্রিক ভিটায় ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সাথে তিনি শ্বশুর ও হাফিজুর রহমানকে ধার দেয়া ৭ লাখ টাকা ফেরত চান। এর প্রেক্ষিতে আসামিরা সোলায়মানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন সোলায়মান। দুদিন পর ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দোকানের মধ্য থেকে ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।