কোটচাঁদপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর অভিযোগ, মাসিক সভা বর্জন

0

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের খামখেয়ালিপনার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুইজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত দুইজন মহিলা সদস্যসহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান মাসিক সভা বর্জন করেছেন। জানা গেছে, সকাল ১১টায় যথারীতি উপজেলা পরিষদের হলরুমে মাসিক মিটিং শুরু হয়। মিটিং চলাকালিন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরলে উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ৯ জন উপস্থিতি স্বাক্ষর না করে মিটিং বর্জন করে হলরুম থেকে বেরিয়ে আসেন। এরা হচ্ছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন রিয়াজ হোসেন ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাছরিন বেগম, সুচিত্রা মালাকার, সাবদালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নওশের আলি নাছির, দোড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস, বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কুশনা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান এবং এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান। মিটিং বর্জন করে জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকির মত আমরাও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু উপজেলা পরিষদের সরকারি বরাদ্দের কোন বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের সাথে আলাপ না করে মিটিং-এ উপস্থিত স্বাক্ষর নিয়ে দায় সারেন। তিনি নিজের মত করে কাজ করেন। অথচ আমরা জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও নিজনিজ এলাকার মানুষের কোন উপকারে আসতে পারি না। মিটিং বর্জনকারী জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে বিতরণের কাজও তিনি নিজে করেন। কখনো আমাদের ডাকার প্রয়োজন মনে করেন না। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমরা মিটিং বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রসাশককে জানাবেন বলে তারা জানান।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, মিটিং বর্জনের কথাটি ঠিক না। একঘণ্টা ধরে মিটিং চলছিল। শেষ দিকে দুই একজন করে হলরুম থেকে বেরিয়ে গেছেন। উপস্থিতি স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর না করে থাকলে তার তো স্বাক্ষর নিতে হবে, তাই না? এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি বলেন, সদস্যরা নিয়ম বহির্ভূত বায়না করলে তো হবে না। যে কোন অনুদান বা সরকারি বরাদ্দ নিয়ে কাজ করতে গেলে আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। যে কারণে আমার এখতিয়ার অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এতে হট্টগোল করার কিছু নেই।