বাগেরহাটে কেবি বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

0

আলী আকবর টুটুল. বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে ইলিশের পাইকারি বাজার কেবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই নেই। দু একজন ছাড়া আর কারো মুখে মাস্ক দেখা য্য়ানি। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি যেন কেউ জানেনই না। শহরের দড়াটানা নদীর পাশে কেবি বাজারে মাছের আড়তে বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড়। কেউ মাছ দেখছে, কেউ কিনছে, কেউ আবার দাম বলে চলে যাচ্ছেন, কেউ বিভিন্ন পরিবহনে মাছ উঠাচ্ছেন, কেউ আবার ঝুড়িতে বরফ দিয়ে মাছ সাজাচ্ছেন। আর দড়াটানা নদীতে রাখা ট্রলার থেকে ঝুড়ি ও ঝাকায় করে রুপালি ইলিশ নিয়ে নির্দিষ্ট আড়ৎ ঘরের সামনে ঢালছেন বিক্রি করার জন্য। সবাই যেন মহাব্যস্ত এই মাছের বাজারে। তবে কারও মুখেই মাক্স ছিল না। সামাজিক দূরত্বে ছিলেন না কেউ। গত তিন-চারদিন ধরেই এভাবে কেবি বাজারে ইলিশের আমদানি অনেক বেশি। দাম ও বিক্রি দুটিই ভাল। যার ফলে খুশি ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
কেবি বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলে ননী গোপাল বলেন, এবার সাগরে ভাল মাছ পেয়েছি। মাছের আকারও বড়। তাই দামও মোটামুটি ভাল পেয়েছি। তবে ৫শ গ্রাম ওজনের ওপরের বেশির ভাগ মাছের পেটে ডিম রয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী লতিফ খান বলেন, এবার মাছের চেহারা ও ওজন দুটোই আগের তুলনায় অনেক ভালো। দুই তিন দিন ধরে ১ কেজি ওজনের মাছ ৬ থেকে ৭‘শ টাকা এবং ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪শ টাকা। এর মাঝামাঝি গুলো সাড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সুমন হাওলাদার, রিয়াদ হোসেনসহ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, বাজারে আসছি। মাছ দেখে পছন্দ হয়েছে। কিনেছি। কিন্তু অনেক ভোরে বাজার শুরু হওয়ায় আসতে একটু কষ্ট হয়। কারও মুখে মাস্ক নেই ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কেন এসব কথা জানতে চাইলে দুই একজন ব্যবসায়ী বলেন বাজারে অনেক ভিড়। ঠিকমত দাঁড়িয়ে থাকাই দায়। এর মাঝে স্বাস্থ্যবিধি আর মাস্ক এসব বাদ দেন।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. খালেদ কনক বলেন, ইলিশ রক্ষার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। জাটকা নিধন রোধে একাধিক অভিযানও করেছি আমরা। মাছ আহরণে নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের সহায়তাও করা হয়েছে। যার ফলে ইলিশের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে সাগর ও নদীতে। কেবি বাজার সমিতির সভাপতি আবেদ আলী বলেন, প্রতিদিন কয়েক টন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এখানে পাইকারদের পাশাপাশি অনেক লোকজন ব্যক্তিগত ভাবে এসে ইলিশ কিনছেন। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা আমরা মাইকিং করেছি। তারপরও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।