বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টযাত্রীদের টাকা ছিনিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের ৬ জন আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানি ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সাথে জড়িত একটি চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এই প্রতারকচক্র ভারতগামী চাঁপাইনবাবগঞ্জের একই পরিবারের কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পাসপোর্টযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। গতকাল বুধবার দুপুরে পুুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতীয় হাই কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসাসহ জরুরি প্রয়োজনে পাসপোর্টযাত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন। কিন্তু বেনাপোলে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র পাসপোর্টযাত্রীদের সরলতা ও অজ্ঞতার সুযোগ দিয়ে নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ধরনের বেশ কয়েকটি প্রতারকচক্র সেখানে সাধারণ যাত্রীদের মানি একচেঞ্জ, দ্রুত পারাপারসহ নানাবিধ সুবিধা প্রদানের প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ অর্থসহ মালামাল হাতিয়ে নিয়ে থাকে। গত ৮ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বন্দরে এ ধরনের একটি প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল লতিফ তার বোন নুরজাহান, খালাতো বোন নাজমা খাতুন ও আলিমুনকে ভারতে পাঠানোর জন্য ওইদিন বেনাপোল চেকপোস্টে আসেন। এ সময় একজন প্রতারক সকলকে সহজে ভারতে পার করে দেওয়ার কথা বলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সংলগ্ন ‘যশোর মানিচেঞ্জার’ এর অফিসের পেছনের একটি দোকানঘরে নিয়ে যান। কিন্তু কোন প্রকার সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে ওই চক্রের ১৪-১৫ জন সদস্য এসে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমদের উদ্ধার এবং ইয়াছিন আলী নামে একজন প্রতারককে আটক করে। এরপর ইয়াছিন আলীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ প্রতারককে আটক করা হয়। এই ৬ প্রতারকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন। আটক ৬ প্রতারক হচ্ছেন-বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের মোস্তফা মোড়লের ছেলে মো. ইয়াছিন (৩০), মোশাররফ হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৯), আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে পাভেল সরদার (৩৩), মো. আব্বাসের ছেলে মোসলেম হোসেন রকি (৩১), দুর্গাপুর গ্রামের আকমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৩) ও মৃত চাঁদ আলীর ছেলে লুলু সরদার (৪৮)। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাভারন সার্কেল জুয়েল ইমরান, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি মামুন খাঁন, পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-ওয়ান এম মশিউর রহমান প্রমুখ।