ইউএনওকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই হামলা: রংপুর বিভাগীয় কমিশনার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত জোর কদমে চলছে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভুঞা। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত কার্যক্রম চলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, তাকে হয়তোবা মেরে ফেলার জন্যই হামলা করা হয়েছিলো। আমার মনে হয়, এরকম কিছু একটা হতে পারে, সম্ভাবনা ছিল, যাক আল্লাহর রহমতে সে বেঁচে গেছে।’ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে বন্দর, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের প থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় তিনি আরও বলেন, তদন্ত কাজ চলছে, তদন্তের মাধ্যমেই জানা যাবে কেন হামলা চালানো হয়েছিলো। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাচ্ছি। এর আগে, তিনি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বন্দরের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে তিনি বন্দরের জায়গাসহ সড়কের বিষয়গুলো নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, পৌর মেয়র জামিল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, বন্দরের পরিচালক প্রিন্স চৌধুরী, ম্যানেজার এসএম হায়দার, জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস আ্যসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ সরদার প্রমুখ। এরপর, বিভাগীয় কমিশনার হিলির দণিবাসুদেবপুরে চলমান মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি উপজেলা পরিষদের সভাকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে ও করোনায় তিগ্রস্ত দ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান ও ভাতার কার্ড বিতরণ করেন। পরে তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করেন।