২০২১ সালে বাড়তে পারে বৈশ্বিক চাহিদা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২০ সাল। তবে সময় যত গড়িয়েছে এ পূর্বাভাস ততই ঋণাত্মক হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে, যা বছরের বাকি সময়েও অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ২০২১ সাল নাগাদ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদায় ফের প্রবৃদ্ধি ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্বালানি তেলের রফতানিকারক দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইসডটকম ও রয়টার্স।
ওপেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর জের ধরে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বা ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।
তবে আগামী বছর নাগাদ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওপেক। এ সময় জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে, যা চলতি বছরের তুলনায় দৈনিক গড়ে ৭০ লাখ ব্যারেল বেশি।
করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে আসে। সংক্রমণ এড়াতে উৎপাদন কার্যক্রম থেকে শুরু করে আমদানি-রফতানি, পরিবহন খাত—সবকিছুর কার্যক্রম গুটিয়ে আনতে বাধ্য হয় বিশ্ববাসী। টানা লকডাউনে বিশ্বজুড়ে ঘরবন্দি জীবন কাটান অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। এতে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পতনের মুখে পড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এর জের ধরে রেকর্ড দরপতন ঘটে জ্বালানি তেলের দামেও।
তবে ওপেক মনে করছে, করোনার ধাক্কায় চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির গতি শ্লথ থাকলেও আগামী বছর থেকে তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। এতে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদাও আগের তুলনায় বাড়বে। বাড়তে পারে জ্বালানি পণ্যটির দামও।