যশোরসহ পাঁচ জেলায় হবে ডেডিকেটেড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পপার্ক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, বগুড়া ও নরসিংদী জেলায় ডেডিকেটেড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প পার্ক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দেশিয় হালকা প্রকৌশল শিল্পের অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত। শিল্প পার্কগুলোতে স্থাপিত শিল্প কারখানার জন্য দ জনবলের যোগান নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও স্থাপন করা হবে। বিশ্বমানের প্রশিক ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিণ ইনস্টিটিউটগুলোতে দেশিয় জনবলের দতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল স্বারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিল্প লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় চিহ্নিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কে অনুষ্ঠিত এ সভায় শিল্পসচিব কেএম আলী আজম সভাপতিত্ব করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন হালকা প্রকৌশল শিল্প খাত বিকাশে প্রণীত সুপারিশ তুলে ধরেন। এ সময় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম, বিসিআই সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বিসিক পরিচালক ড. আব্দুস ছালাম, বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআইসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পখাতে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান করতে ডেডিকেটেড শিল্পপার্ক স্থাপন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অল্প খরচে ফান্ড সরবরাহ ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, প্রশিণের মাধ্যমে দ কর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, সাব-কন্ট্রাকটিং শিল্পের বিকাশ ও আইন প্রণয়ন এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প নীতি প্রণয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি এখাতের উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন নিশ্চিত করতে সাব-কন্ট্রাকটিং আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ল্েয বিসিককে দ্রুত আইনের খসড়া প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত সাব-কন্ট্রাকটিং বিধিমালার আওতায় উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ বাড়াতে জাতীয় শিল্পনীতিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছর হালকা প্রকৌশল শিল্পকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করায় এ শিল্পের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে এ শিল্পের বিকাশ ঘটছে। পরিকল্পিতভাবে হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ডেডিকেটেড শিল্প পার্ক স্থাপনের বিকল্প নেই।’’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের বর্তমান বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারে হালকা প্রকৌশল পণ্যের চাহিদা ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৩৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করছে। এই বিবেচনায় রফতানি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের জন্য হালকা প্রকৌশল পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন।