বাঘারপাড়ার খবির-উর-রহমান কলেজ : অধ্যক্ষের মামলায় সভাপতিকে আদালতের কারণ দর্শাও

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর খবির-উর-রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমান তাকে অবৈধভাবে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ এনে সোমবার আদালতে মামলা করেছেন। পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ ১৩ জনকে বিবাদী করে বাঘারপাড়া সহকারী জজ আদালতে তিনি এই মামলা করেন। আদালতের বিচারক মো. সালমান আহমেদ শুভ তার অভিযোগ আমলে নিয়ে পরিচালনা পরিষদ সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন। ৭ দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমানের অভিযোগ, ২০০২ সালের ১৬ মার্চ পরিচালনা পরিষদ সরকারি বিধি অনুসরণ করে তাকে খবির-উর-রহমান কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে। সেই থেকে তিনি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারি কুচক্রি মহলের পরামর্শে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তাকে যে কোন উপায়ে বরখাস্ত করে তদস্থলে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ কারণে তিনি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে কলেজের নানা কাজে বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ সময় সভাপতি ও তার সহযোগীরা অধ্যক্ষকে শারীরিক নির্যাতনসহ নানাভাবে অপমান করতে থাকেন। ফলে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ১৫ জুন অধ্যক্ষ সভাপতির বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। পরে ইউএনও’র গঠিত একটি কমিটি তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পায়। এরই মধ্যে গত ২৮ জুন সভাপতি তার পক্ষীয় সদস্যদের নিয়ে বেআইনিভাবে একটি সভা করেন। পরদিন ২৯ জুন সভাপতি অনুরুপ বেআইনিভাবে অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। অধ্যক্ষ এর জবাব দিলেও গত ২৬ জুলাই তাকে দ্বিতীয় দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপর গত ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ লিখিতভাবে তার জবাবও দেন। কিন্তু এই জবাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে তাকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে অপসারণের জন্য ২৩ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করেন সভাপতি, যা বেআইনি। কারণ, সভাপতি যে স্মারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন তা ভুয়া। মূলত সভাপতি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ শামসুর রহমানকে যেনতেন উপায়ে কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করার জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, সভাপতি বাদে অপর বিবাদীরা কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য।