লোকসমাজ ডেস্ক॥ অবিলম্বে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আর এ কর্মসূচি চলবে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কহার পুননির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্স কমিটির বৈঠকে এ সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এবং বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানসহ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বিশেষ করে পেঁয়াজের মজুদ, আমদানি ও সরবরাহ এবং মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনায় বলা হয়, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে, আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পেঁয়াজের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধির কোন সঙ্গত কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুদ বা কৃত্তিম সঙ্কট সৃষ্টির মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে সরকার আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বৈঠকে। পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অবিলম্বে খোলা বাজারে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় শুরু করবে, নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বৈঠকে।
এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্কহার পুননির্ধারণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইপি ও কোয়ারেন্টিন বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করে দেশব্যাপী বাজার মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।