কুতিনিয়োকে আর ধারে পাঠাবে না বার্সেলোনা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখে ধারে খেলতে গিয়ে ফিলিপ্পে কুতিনিয়ো ২৩ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। খুব ভালো পরিসংখ্যান নয়। কিন্তু এই ৮ গোলের দুটি তার মূল ক্লাব বার্সেলোনার বুকে বিঁধেছে শেলের মতো। এই দুটি গোল করেছেন গত ১৪ আগস্ট, লিসবনে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে, আর তাতে ৮-২ গোলে উদোম হয়ে পড়ে মেসি-সুয়ারেজ-গ্রিজমানের বার্সেলোনা। যুগ-যুগান্তর বার্সেলোনাকে যন্ত্রণা দিয়ে যাবে এই দুটি গোল। তবে আপাতত কাতালান ক্লাবটিকে এই উপলব্ধি দিয়েছে যে আর ধারে না পাঠিয়ে কুতিনিয়োকে ক্লাবে থিতু হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাক।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, কোচ রোনাল্ড কোম্যান ক্লাবকে বলে দিয়েছেন, ২৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে তিনি রেখে দিতে চান। আপাতত বিক্রির তালিকা থেকে বাদ তো বটেই, কুতিনিয়োকে আর ধারে পাঠানোর সিদ্ধান্তও বাতিল করা হয়েছে। বার্সেলোনাতেই থিতু হওয়ার লড়াই চালাবেন লিভারপুলের ‘ ব্রাজিলিয়ান ম্যাজিশিয়ান’। বার্সেলোনা থেকে নেইমারের বন্ধুর বিদায় হওয়ার একটি পথই শুধু খোলা- যদি কোনও ক্লাব বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাকে কিনে নেয়! বার্সেলোনা গত কয়েক মাস ধরে কুতিনিয়োকে ভালো দামে বেচে দেওয়ার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সেরকম কোনও ক্রেতা পায়নি। বায়ার্ন মিউনিখের ওপর তাদের একটা আশা ছিল, হয়তো বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা ১২০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে তাকে স্থায়ী করে নিতে পারে। সেটা তারা করেনি, গত মৌসুমটা শেষ হতেই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
কুতিনিয়োকে রেখে দেওয়ায় দলের শক্তি বাড়বে বলেই মনে করছেন কোম্যান। তাকে তিনি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলাতে চান। সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে তাকে খেলিয়েছেন উইঙ্গার হিসেবে, যেখানে কুতিনিয়ো নিজের আসল মানটা তুলে ধরতে পারেননি। বার্সেলোনা ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্কের’ এখন মনে হচ্ছে কুতিনিয়োকে নিয়ে আরেকটু ধৈর্য্য দেখালেই ভালো হতো। ২০১৮ সালে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় এসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তার প্রতিশ্রুতি যে মেলে ধরেননি তা তো নয়! প্রথম এল ক্লাসিকোতেই গোল পেয়েছেন, সে ম্যাচে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই বছরই চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহামের মাঠে বার্সার ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচে গোল করেছেন। কুতিনিয়োকে ঠিকমতো ব্যবহার যেমন করা হয়নি, তেমনি থিতু হতে পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হয়নি।