৬ মাস পর মিলল কিশোরের লাশের সন্ধান, বাবা-সৎ মা আটক

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের ঢালীপাড়ায় নিখোঁজের ছয় মাস পর আরিফুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। হত্যার পর মরদেহ গুম করার অভিযোগে ওই কিশোরের বাবা ও সৎ মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। নিহত আরিফুল ইসলাম চম্পাফুল গ্রামের ঈমান আলী মোড়লের ছেলে।
চম্পাফুল ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইলুজ্জামান খান জানান, ছয় মাস ধরে আরিফুল ইসলাম নিখোঁজ। তার অবস্থান সম্পর্কে প্রতিবেশীরা তার বাবা ইমান আলী মোড়ল ও ইমানের তৃতীয় স্ত্রী জোহরা খাতুনের কাছে অনেকবার জানতে চাইলেও তারা বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে আসছিলেন। একপর্যায়ে শুক্রবার এলাকাবাসী ঘটনাটি স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাইয়ুম গাইনকে জানান। তিনিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিকেলে ইমান আলী মোড়ল ও জোহরা খাতুনের কাছে আরিফুল ইসলাম কোথায় আছে জানতে চাপ সৃষ্টি করেন।
এ সময় চাপের মুখে তারা জানান, গত চৈত্র মাসের ১ বা ২ তারিখ রাতে তাদের ছেলে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। পরদিন সকালে ঝুলে থাকা মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা তা নামিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিকেলে বাড়ির পাশে বাগানে কবর দেন। আত্মহত্যার ঘটনা কাউকে জানানো হয়নি কেন জানতে চাইলে তারা জানান, পুলিশকে জানালে মৃত ছেলের কিডনি খুলে নিয়ে যাবে। সে জন্য কাউকে না জানিয়ে ইমান আলী একাই বাড়ির পাশে কবর খুঁড়ে তাকে দাফন করেন। তাদের রহস্যজনক আচরণ ও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আরিফুলকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য পুঁতে রাখার অভিযোগ আনেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ইমান আলী ও জোহরা খাতুনকে আটক করে থানায় খবর দেয়া হয়। পরে খবর পেয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কালিগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চিন্ময় মন্ডল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটকদের থানায় আনা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর মরদেহ উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হবে।