চৌগাছায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেঙে পড়া গাছ আজও রাস্তা থেকে সরানো হয়নি

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছার গ্রামাঞ্চলে সড়কগুলোর পাশে এখনও পড়ে আছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেঙে পড়া গাছের গুড়ি। ফলে ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীসহ সব ধরনের যানবাহনের। এলাকাবাসী এই গাছ দ্রুত অপসারণে জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত ২০ এপ্রিল দেশের অন্যান্য স্থানের মত চৌগাছাতে ব্যাপক তান্ডব চালায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ঝড়ে বাড়িতে গাছ পড়ে মারা যান মা ও মেয়ে। ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষকের উঠতি ফসলের। প্রায় সাড়ে চার মাস অতিবাহিত হলেও সেই ঝড়ের তান্ডব আজও ভুলতে পারেনি এ জনপদের সব বয়সের মানুষ। মুহূর্তের মধ্যে নিজের চোখের সামনে সব কিছুই হয়ে যায় এলোমেলো।
আম্পানে উপজেলার প্রতিটি সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে বড় বড় গাছ। কিছৃ গাছ অপসারণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সাড়ে চার মাস পার হতে যাচ্ছে অথচ আজ পর্যন্ত বহু জায়গা থেকে ভেঙে পড়া গাছ অপসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সড়কর বেশির ভাগ জায়গা নিয়ে গাছ পড়ে থাকায় ঝুকি নিয়ে চলতে হচ্ছে সকলকে। এমনই একটি ঝুকিপূর্ণ সড়ক হচ্ছে চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়ক। আম্পানে অন্য সড়কগুলোর মত এই সড়কও গাছে গাছে ঢাকা পড়ে যায়। সড়কটির মুক্তদাহ মোড় পার হলে এই দৃশ্য দেখা মেলে। একই অবস্থা হাকিমপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর এলাকাতেও। শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার ওপর গাছের বিশাল গুঁড়ি পড়ে আছে। ঝড়ের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও আজও গাছের গুঁড়িগুলো সরিয়ে নেয়া হয়নি। পথচারী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি নিয়ত তিনি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। সড়কের বেশি জায়গা নিয়ে ওই গাছ পড়ে থাকায় ছোট খাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। যানবাহনও ঠিকমত চলাচল করতে পারছে না। হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, ঝড়ের পরে বেশ কয়েক দিন নিজ উদ্যোগে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়। ডাল পালা সরিয়ে ফেলা হলেও গাছ ও গুঁড়ি কিন্তু পড়ে আছে। দীর্ঘ সময় পার হলেও কর্তৃপক্ষ এই গাছ অপসারণের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এতে মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে। এ বিষয়ে জানার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য দেওয়ান তৌহিদুর রহমানের মোবাইলে ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।