যশোরের খড়কিতে দু পরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৬

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের খড়কিতে শুক্রবার দুপুরে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের একজন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে খড়কি রেলক্রসিং এলাকায় রাসেল নামে এক নৈশ প্রহরীকে কয়েকজন যুবক মারধর করেন। তাকে চাকুর বাট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এ সময় তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় তাকে ফের মারধর করে ছেড়ে দেন। পরে রাসেল খড়কিতে বাড়িতে চলে যান এবং শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার এলাকার লোকজনকে জানান। এরপর খড়কির ২০-২৫ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে রেলগেট পশ্চিমপাড়া মাঠপাড়ায় যান। তারা এ সময় সেখান থেকে সম্রাট নামে সন্দেহভাজন এক যুবককে ধরে খড়কিতে নিয়ে যান। সেখানে একজন শ্রমিক নেতার অফিসে তাকে নেয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সম্রাট পক্ষীয়রা সেখানে ছুটে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুকুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে পৌঁছে সংঘর্ষ ঠেকানোর চেষ্টাকালে তিনিও আহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। অবশ্য পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সেখান থেকে ১১ জনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
সম্রাটের ভাই সোহেল মাহমুদ জানান, সাগর নামে তার এক ভাই রেলগেট পশ্চিমপাড়া মাঠপাড়ায় মাছের চাষ করেন। শুক্রবার দুপুরে খড়কির ৩০-৪০ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে যান। তাদের সাথে সাদা পোশাকে দুইজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। ওই যুবকেরা সেখানে সাগরকে মারধর করেন। তাকে ছুরিকাঘাতও করা হয়। তখন সাগরকে রক্ষা করতে গেলে আরেক ভাই সম্রাটকেও তারা মারধর করেন। তিনি জানান, হামলাকারীদের মধ্যে পুলেরহাটের হৃদয় ও চাঁচড়া রায়পাড়ার রবি ছিলেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানা পুুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, খড়কি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে পুরাতন কসবা ফাঁড়ির এসআই সুকুমার কুন্ডু সামান্য আহত হন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনা দু পক্ষ সমঝোতা করে নিতে পারে। আর যদি সমঝোতা না হয় তাহলে কেউ অভিযোগ দিলে পুলিশ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।